প্রকাশ: সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যা মামলার আলোচিত আসামি পৌর মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম রফিককে কারাগারে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আসামি পক্ষের জামিন আবেদন নামজ্ঞুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের প্রতিযশা আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু জাফর রাশেদ মো: মিলন। তিনি জানান, শুভ্র হত্যা মামলায় মেয়র রফিক উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন। ওই জমিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে সোমবার নিন্ম আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন আবেদন নামজ্ঞুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, শুভ্র হত্যা মামলায় দুই জন আসামি ইতিমধ্যে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর মধ্যে একজন আসামি সৈয়দ রফিকের নাম বললেও তাঁর জড়িত থাকার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। অপর আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সৈয়দ রফিকের নাম বলেননি।
জানা যায়, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম গৌরীপুর পৌরসভার টানা দুইবারের বর্তমান মেয়র। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। তবে শুভ্র হত্যাকান্ডের পর স্থানীয় উপজেলা আওয়ামীলীগ সৈয়দ রফিককে বহিস্কারের জন্য দলের কেন্দ্রীয় দফতরে সুপারিশ পাঠালেও এখন পর্যন্ত বহিস্কার আদেশ কার্যকর হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ।
মেয়র রফিকের পরিবারের দাবি, শুভ্র হত্যা মামলায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে সৈয়দ রফিককে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে তাঁর কোন সম্পৃক্ততা নেই। মূলত আসন্ন পৌর নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখতেই সৈয়দ রফিককে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, হত্যাকান্ডের পর নিহতের স্বজনরা জড়িত অনেকের নাম প্রকাশ করে মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়েছে। অথচ তারা মামলায় আসামি হয়নি। কিন্তু পরিকল্পিত ভাবে মামলা হওয়ার আগেই মেয়রের বাড়ীঘরে হামলা করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
তবে আসামি পক্ষের এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও মামলার বাদির বক্তব্য জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ১৭ অক্টোবর রাতে আতর্কিত হামলায় খুন হন গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র। এ ঘটনার দুইদিন পর বহু নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে ১৯ অক্টোবর রাতে থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই। ওই মামলায় ১১নং আসামি করা হয় পৌর মেয়র সৈয়দ রফিককে।