শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে“আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান” চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে আলোজ প্রজ্বলন ও বিনম্র শ্রদ্ধা
“আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান” চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে আজ বিকেল ৫টায় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে আলোক প্রজ্বলনের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করা হয়।
সংগঠনের মহানগরের সমন্বয়ক এম. এম ফরহাদ আলীর সঞ্চালনায় আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুরজিত দত্ত সৈকতের সভাপতিত্বে উদ্বোধন ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সিনিয়র সহ সভাপতি মমতাজ খান, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, আমুস চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক নয়ন কান্তি ধুম, আমুস মহানগর আইন বিষয়ক সম্পাদক বিষয়ক সম্পদাক জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা, বিশিষ্ট আবৃত্তিকার কাবেরী আইচ, চট্টগ্রাম জর্জ কোর্টের এপিপি জান্নাতুল ফেরদৌস, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা কামাল উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী যুবলীগ শেখ মহিউদ্দিন বাবু, আমুস খুলশী থানা আহ্বায়ক ডিকো শিকদার।
নতুন প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধরে রাখতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ইন্দিরা ও মুজিবের ভাস্কর্য নির্মাণের দাবী করে বক্তারা বলেন, ’৫২র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ত্রিশ লক্ষ প্রাণের আত্মদানের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশ। এদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি আবার মাথা চারা দিয়ে উঠতে চায়। মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজাকার, আলবদর, আলশামস এবং পাকিস্তানী সেনাবাহিনী সম্মিলিতভাবে এই দেশের বাঙালী ও তাদের স্বত্তাকে মেধাশূন্য করতে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত হত্যাযজ্ঞ পরিচালিত করেছিল। তারা এই দেশে কিছু শান্তিপ্রিয় বুদ্ধিদীপ্ত মানুষকে হত্যা করলেও এই দেশ আবার একবিংশ শতাব্দির দ্বারপ্রান্তে এসে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার বিশ্বদরবারে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব নেতৃত্ব আজ এই দেশের উন্নয়নের প্রসংশায় ভাসছে। তাই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করলেও এদেশ থেকে জাতীকে মেধাশূন্য করা সম্ভব হয়নি। আজকের এই দিনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী দেশ গঠনই মূল লক্ষ্য বলে তারা শপথ গ্রহণ করেন এবং এই বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১ ভাস্কর্য নির্মাণ ও বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিস্তম্ব সমগ্র বাংলাদেশে সংরক্ষণের জোর দাবী জানানো হয়।
এছাড়া সম্প্রদায়ীক উস্কানীর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হামলাকারীদের দ্রুত বিচার কার্যকর করে ফাঁসির দাবী জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান লায়ন ডা. আর. কে রুবেল, বাবুল দত্ত কনক, আমুস দক্ষিণ জেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাসেম, এড. গোপাল দাশ টিপু, রতœা কর, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, সোনিয়া আজাদ, আমুস মহানগর সহ-সভাপতি পুলক দাশ, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতা রঘুনাথ মজুমদার বিজয়, মঈনুল হোসেন, মাইনুল হোসেন, কাজী ইউসুফ, পুলক চৌধুরী, সঞ্জয় দে, মোশারফ হোসেন, তারেকুল ইসলাম, মোঃ তানজিদ হোসেন, মোঃ আকাশ, তানভির ইসলাম, মো. আরাফাত, মো. ফয়সাল, মোঃ সিহাব, সাকিল, সামি প্রমুখ। এ সময় ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুর ফাউ-েশন বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু জাতীয় চারনেতা পরিষদ, চট্টগ্রাম জেলা মুক্তি ফাউ-েশন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ, মহানগর বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ফাউল্ডেশন, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, মহানগর বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ সংহতি প্রকাশ করে।