প্রকাশ: শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আমাদের বিজয়ের অহংকার পদ্মা সেতু। সারা বিশ্বের সকল বাংলাদেশীদের অহংকার এখন পদ্মা সেতু। এক থেকে একচল্লিশ নম্বর স্প্যান বিজয়ের ইতিহাস। গর্বের ইতিহাস। স্প্যানগুলো যেন একেকটি প্রতিশোধের স্পৃহার প্রতীক। একেকটি স্প্যান মাথা উঁচু করে গর্বের সহিত দাঁড়িয়েছে আর ষড়যন্ত্রকারীদের চপেটাঘাত করেছে। জবাব দিয়েছে সকল ষড়যন্ত্রের। দেশের আত্মমর্যাদার সংকটের কঠিন পরিস্থিতিতে সাহসী সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অদম্য বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন-প্রগতির মহাসড়কে দাপটের সঙ্গে পথ চলতে শুরু করেছে শেখ হাসিনার হাত ধরে।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক, সাবেক সচিব, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নির্বাহী চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন, সম্প্রচার সাংবাদিক, (যুদ্ধ রিপোর্টিংয়ের জন্য সমধিক পরিচিত) রাশেদ কাঞ্চন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এম এ সোহরাব। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
এম এ সোহরাব বলেন, আজকে ভোরের পাতা সংলাপের মাধ্যমে পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক কিছুই জানলাম আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছ থেকে যার অনেক কিছুই আমার আগে জানা ছিলো না। এই পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কমিটমেন্ট ছিল বাঙালি জাতির প্রতি। উনার সাহসিকতার বিজয়ের মাধ্যমে এই পদ্মা সেতু আজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই পদ্মা সেতুকে নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের যে রিপোর্টটি এসেছিল দুর্নীতি নিয়ে, তার ফলে প্রবাসীদের মধ্যে একটা বিভাজন সৃষ্টি হয়েছিল। যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না, যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন, যারা বাংলাদেশকে নিয়ে ঈর্ষা করে, অর্থাৎ বিএনপি-জামায়াত গোষ্ঠীর লোকেরা সম্মিলিতভাবে এখানে ৬০০ এমপিকে চিঠি লেখেন। তারা চিঠিতে লিখেন বাংলাদেশের পদ্মা সেতু নিয়ে বিশাল দুর্নীতি হচ্ছে। তারা এখানে একটি আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চেয়েছিল। তখন আমরা এর প্রতিবাদে এই ৬০০ এমপির কাছে যেতে হয়েছিল। বিশ্বব্যাংক তো ছিলই, ছিল নানামুখী ষড়যন্ত্র, গুজব। পদ্মাসেতুর বিরোধিতা যারা করেছেন তাদের এজেন্ডার বড় অংশটাই রাজনৈতিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে যেখানে দাঁড় করিয়েছেন, তা এক অসম্ভব সাফল্য, যা অনেকের কাছে অকল্পনীয় আবার অনেকের কাছে ঈর্ষণীয়।