প্রকাশ: শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ভারতের চত্তিশগড়ের মহিলা কমিশনের প্রধান তার বক্তব্যে বলেছেন , মধুর সম্পর্ক টক হয়ে যাওয়ার পরই অধিকাংশ নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে চত্তিশগড় মহিলা কমিশনের প্রধানের এমন বক্তব্যে। যা ভুক্তভোগীদের আইনি সুরক্ষা চাওয়ার ক্ষেত্রে অনুৎসাহী করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কিরানমায়ি নায়েক বলেন, একজন বিবাহিত পুরুষ কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালো। পরে মেয়েটি বুঝতে পারলো পুরুষটি তার সাথে প্রতারণা করেছে। তার দায়িত্ব সে পুরুষ নেবে না। তখন অধিকাংশ নারী পুলিশে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) বিলাসপুরে নারী হয়রানি বিষয়ক গণশুনানিতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেশিরভাগ মামলায় দেখা গেছে, পুরুষটির সঙ্গে নারীর মধুর সম্পর্ক ছিল। তারা একসাথে থেকেছে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরই মেয়েটি ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছে।
নায়েক আরও বলেন, আমাদের চেষ্টা থাকে যতবেশি পারিবারিক সমস্যা আপসের মাধ্যমে সমাধানের। এক্ষেত্রে নারী এবং পুরুষ উভয়কে আমরা তিরস্কার করি। পারিবারিক সংকটের বিষয়গুলো তাদের বুঝিয়ে বলি।
‘অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের প্রতি আমার আহ্বান, ফিল্মি রোমান্সের ফাঁদে পা দিও না। তোমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং তোমার সারাজীবন বরবাদ হয়ে যাবে। নতুন একটি চল শুরু হয়েছে। কিছু কিছু মানুষ ১৮ বছর বয়সে বিয়ে করছে। কিছু বছর পর যখন দম্পতির সন্তান জন্ম হয়, তখন স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে জীবনযাপনে নানা ধরনের সমস্যা খুঁজে পায়।’
২০১৯ সালে ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৮৭টি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। ওই বছর নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে ৪ লাখ। যা ২০১৮ সালের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর সবশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে আসে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, সরকারি পরিসংখ্যান বলে দেয়, ধর্ষণের বিরুদ্ধে মামলা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনও নিষিদ্ধ হিসেবে গণ্য করা হয়। ধর্ষণের পর হত্যার করা হলে, সেগুলো শুধু হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয় না। এসব ক্ষেত্রে পুলিশের গাফিলতি রয়েছে বলেও তাদের অভিযোগ।