প্রকাশ: শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর ও ভাস্কর্যবিরোধী প্রচারণায় উসকানির প্রতিবাদে বিশাল প্রতিবাদ সভা করেছে কক্সবাজার জেলার সর্বস্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজার শিশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ইস্যুতে ধর্মপ্রাণ মানুষকে ইসলামের অপব্যখ্যা দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায় একটি সম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান কোন দল, গোষ্ঠী কিংবা কোন সম্প্রদায়ের নয়। তিনি দেশের সম্পদ, স্বধীনতার মহান স্তপতি। তাকে নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করা রাষ্ট্রদ্রহিতার শামিল। স্বধীনতা ও বঙ্গবন্ধু এক অবিচ্ছেদ্য নাম। স্বধীনতার অর্ধশত বছরে এস বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করা খুবই দুঃখজনক। শুধু বাংলাদেশ নয় অন্যান্য মুসলমান দেশেও স্বাধীনতার স্তপতি ও জাতীয় নেতাদের ভার্ষ্কর্য রয়েছে।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। এই মহানায়ক না হলে আমরা পেতাম না লাল-সবুজের পতাকা। মিলত না নিজস্ব মানচিত্র। তাঁর জন্যই আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে প্রাণভরে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছি। চাকুরী করছি পদস্থ পদে। তিনি পুরো জীবন বাঙালি জাতির জন্য সঁপে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন গহীন অন্ধকার কারাগারে। তাই তার অবদান কোনদিন ভুলবে না বাঙালি জাতি।
তাঁর উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশকে উন্নয়নের সর্বোচ্চ চূড়ায় নিয়ে গেছেন। এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর ও ভাস্কর্যবিরোধী প্রচারণায় করা হচ্ছে। এটি গভীর ষড়যন্ত্র।
এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিলুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার আশেকুর রহমান, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পার্থ সারথী সৌম, জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাশেম, কক্সবাজার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ফাহমিদা বেগম, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, জেলা ৩য় শ্রেণী সরকারি কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কান্তি পাল।
সভা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ।