প্রকাশ: শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:৪২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির অতীত ষড়যন্ত্রের ইতিহাস। তাদের হাতে রক্তের দাগ, পোড়া মানুষের গন্ধ। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করা, বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে সংবিধানে যুক্ত করা, জেল হত্যা, গ্রেনেড হামলা করে হত্যা, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা—এগুলোর সঙ্গে জড়িত বিএনপি। এমন কোনও জঘন্য কাজ নেই, যা তারা করেনি। জন্মলগ্ন থেকে ক্ষমতার লোভে ধারাবাহিকভাবে দলটি মানবতাবিরোধী অপরাধ করে আসছে। জনগণ মনে করে এসব অপরাধে তাদেরও মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বিচার হওয়া উচিত।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও জন্মলগ্ন থেকে অগণতান্ত্রিক চর্চা তাদের ঐতিহ্য। যাদের দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, তারা দেশে কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে?
বিএনপিকে দেশের রাজনীতিতে মাস্তান চক্রের জনক বলেও মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘হিজবুল বাহারে নিয়ে কারা মেধাবী ছাত্রদের বিপথে নিয়ে গিয়েছিল? কারা অস্ত্র হাতে তুলে দিয়ে মেধাবী তরুণদের বিপথগামী করেছে? বিএনপি এসব করেই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। চর দখলের মতো হল দখলও বিএনপির সময়ের ঐতিহ্য।
বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশে কাদের বলেন, ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এর কোনও বিকল্প নেই। অযথা বিদেশি দূতাবাসে ছোটাছুটি, গোপন সভা বা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকানি দিয়ে লাভ নেই। সময় হলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। জনগণ যে রায় দেবে তা মেনে নেওয়ার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে। তাই বলবো, জনগণের কাছে যান। বিদেশি শক্তি আপনাদের ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। যে অর্থ লবিস্ট নিয়োগে ব্যয় করছেন বা সরকারবিরোধী প্রচারণায় ব্যয় করছেন, তা জনগণের জন্য ব্যয় করুন। সংকটে-দুর্যোগে জনগণের পাশে থাকুন, তাদের জন্য ব্যয় করুন। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করুন।
সম্মেলনে আদমদিঘী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের দলের শৃঙ্খলা মেনে চলার কঠোর নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শৃঙ্খলা না মানলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ একইসঙ্গে দলের ত্যাগীদের মূল্যায়নের আহ্বান জানান তিনি।
/ই