পদ্মা সেতু নির্মাণ করে শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে কুলুপ এঁটে দিয়েছেন: শ ম রেজাউল করিম
প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পদ্মা সেতু আজ বাংলাদেশের আত্ন সংক্ষমতার পরিচায়ক হিসাবে বিশ্বের বুকে দাঁড়িয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে বিশ্বব্যাংকসহ, সকল ষড়যন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আজ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কারণেই আজ বাংলাদেশের স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। একটির পর একটি স্প্যানে এখন দৃশ্যমান সেতুটির পুরোটাই। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছেন। সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। পদ্মার এই স্বপ্নবুননে চোখ মেলে তাকালো পুরো জাতি, পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশ বিজয়ের মাসে দেখিয়ে দিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা নিজ পায়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে দাঁড়াতে পেরেছি। দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৮৫ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমিন, মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং জামার্নির রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাতে চাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমিনকে। তিনি তার স্মৃতি থেকে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে প্রবাসীরা কতটা আকুল ছিল, সেটাই জানিয়েছেন। মোশরারফ হোসেন সাহেব তো এই ঘটনার ভুক্তভোগী। তাকে রিমান্ডেও যেতে হয়েছে। তখন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সিপিডিসহ অন্যান্য সুশীল সমাজের অনেকের সাথে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি হিলারী ক্লিনটনকে দিয়ে সরাসরি নগ্ন নোংরা খেলায় মেতেছিলেন। বিএনপির নেতারা তো বলেই ফেলেছিলেন, ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা লুটপাট করার জন্য আওয়ামী লীগ এই পদ্মা সেতু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা মু্ক্তিযুদ্ধের সময় থেকেই এদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা সক্রিয় ছিল। তাদের বংশধররা এখনো সক্রিয় রয়েছে। ভিশনারী লিডার হিসাবে শেখ হাসিনার আলোয় আলোকিত করেছেন। বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করার কাজে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এই পদ্মা সেতুর কারণে ১.২ প্রবৃদ্ধি বাড়বে। দেশের ৩ কোটি মানুষের জীবনের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু এখন আমাদের আত্ন মর্যাদার, সক্ষমতার পরিচায়ক হিসাবে পরিচিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের এমন কোনো খরস্রোতা নদীতে এত বড় সেতু হয়নি। এক সময় পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় যেসব পত্রিকা সমালোচনা করেছিল, তারা এখন তারা পদ্মা সেতু নিয়ে ভালো কথা বলছেন। কিন্তু যারা প্রধান বিরোধী দল হিসাবে নিজেদের দাবি করেন, তারা এখনো সরকারের এত বড় সাফল্যে কোনো কথা বলছে না। তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। তারা এক সময় বলেছিল, এই পদ্মা সেতুর টাকা আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যরা ভাগ ভাটোরায়া করবে। তাদের রাজনৈতিক উদারতা নেই বলেই এমনটা বলতে পেরেছিল। আমি বিশেষ করে ধন্যবাদ দিতে চাই সাবেক অর্থমন্ত্রী আজকে আমাদের লাইভের অতিথি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর আপন বড় ভাই আব্দুল মুহিত সাহেব কে। তিনি এই বয়সে এসেও যে সাহস ও দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন, তার কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।