শেখ হাসিনা দৃঢ়তা নিয়েই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করে দেখালেন: মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া
প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:২৭ পিএম আপডেট: ১১.১২.২০২০ ১০:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পদ্মা সেতু আজ বাংলাদেশের আত্ন সংক্ষমতার পরিচায়ক হিসাবে বিশ্বের বুকে দাঁড়িয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে বিশ্বব্যাংকসহ, সকল ষড়যন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আজ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কারণেই আজ বাংলাদেশের স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। একটির পর একটি স্প্যানে এখন দৃশ্যমান সেতুটির পুরোটাই। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দিয়েছেন। সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। পদ্মার এই স্বপ্নবুননে চোখ মেলে তাকালো পুরো জাতি, পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশ বিজয়ের মাসে দেখিয়ে দিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা নিজ পায়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে দাঁড়াতে পেরেছি। দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৮৫ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমিন, মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং জামার্নির রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মোশরারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ২০১১ সালের জুন মাসে বিশ্বব্যাংক তখনো পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের বিষয়ে যুক্ত ছিলো। তখনকার দিনে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পরিচালক ছিলেন এ্যালেন গোর্সেটে। তিনি তখন আমার অফিসে এসে বললেন আমাদের ওপর মহল মানে বিশ্বব্যাংক সাবেক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী আবুল হোসেনের ওপর বিরক্ত। তাদের কাছে নাকি তথ্য প্রমাণ আছে এই পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে আবুল হোসেন সাহেব সুবিধা নিতে পারে। এধরণের তথ্য প্রমাণ নাকি তাদের কাছে আছে। তাই তাকে মন্ত্রীসভা থেকে সরিয়ে দিতে হবে এবং তাদের পছন্দের লোককে কাজ দিতে হবে। তখন তাকে উত্তর দিয়ে বললাম, প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রী সভার একজন সদস্যকে বাদ দেয়ার এখতিয়ার শুধুই তার। এসব বিষয়ে আমি, অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলতে পারবো না। তারপর তাদের বললাম, এ বিষয়ে সেপ্টেম্বরে কথা বলার জন্য বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট, পরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে আসলেন। এরপরও তারা সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি বিশ্বব্যাংক। এরপর জাতিসংঘের অধিবেশেনে যোগ দেয়ার পরও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি বিশ্বব্যাংক। এরপর জুন মাসে ঋণ বাতিল করলো বিশ্ব ব্যাংক। দৃঢ়তা নিয়ে শেখ হাসিনা মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন। ততদিনে ব্যাংক একাউন্টও খোলা হয়ে গেছে। এমনকি বাংলাদেশের সুশীল সমাজ থেকে শুরু দেশি বিদেশীরা বলেছিল, বাংলাদেশের সক্ষমতাই নেই এ পদ্মা সেতু নির্মাণ করার জন্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেছিলেন, বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিলেও দুর্নীতি প্রমাণ করতে না পারলে নিজস্ব অর্থায়নেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। দুদকের মাধ্যমে আমাকে জেলে নিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তা নিয়েই আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করে দেখালেন।