প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:১৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমেরিকার সকল হুমকির মধ্য দিয়েই রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার ঘটনায় তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তাসহ ৪টি সূত্র বৃহস্পতিবার এ কথা নিশ্চিত করেছে।
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চমৎকার সম্পর্ক রেখেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে। সে কারণে উপদেষ্টাদের পরামর্শ কানে না নিয়ে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধিতা করতেন বরাবরই। আর চমৎকার এ সম্পর্কের সূত্র ধরেই অস্ত্র কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী দেশ রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েন এরদোয়ান। গেল বছরের জুলাইয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রের চালান নেয়া শুরু করে তুরস্ক সরকার।
এ ঘটনার পরই ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা অভ্যন্তরীণভাবে আঙ্কারার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেন। তবে ট্রাম্প এতে কোনো পদক্ষেপ না নিলেও তুরস্ক নিষেধাজ্ঞা কবলিত হওয়ার মুখে পড়ে।
ইতোমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প পরাজিত হয়েছেন জো বাইডেনের কাছে। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে তুরস্কা। বৃহস্পতিবার দুই মার্কিন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট আরও পাঁচজন বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
আর শুক্রবারই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসতে পারে বলেও জানিয়েছেন তারা। তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং এর প্রধান ইসমাইল দেমিরের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাসে ধুঁকতে থাকা তুরস্কের অর্থনীতি মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তবে তুরস্কের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নিষেধাজ্ঞা কোনও কাজে আসবে না। কিন্তু এতে বিপরীত ফল হবে; সম্পর্কের ক্ষতি হবে।
রাশিয়ার কাছ থেকে স্থল থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পর তুরস্ক সেগুলো পরীক্ষাও করে দেখেছে। তুরস্ক বলছে, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কারও জন্য হুমকি নয়। কেবল শত্রু মোকাবেলায় এগুলো ব্যবহার করা হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে হুমকি হিসাবেই দেখছে এবং এর জেরে যুক্তরাষ্ট্র গতবছরই তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান বিক্রি বন্ধ করা এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছিল।