এমডি দিতে পারবেন ১০ কোটি টাকার ঋণ!
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:০১ এএম আপডেট: ১১.১২.২০২০ ৭:০৯ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
এখন পাঁচ থেকে ১০ কোটি টাকার নিচের ঋণ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুমতিতেই মিলবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ থেকে এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারে বলা হয়েছে, পাঁচ কোটি টাকা বা তদূর্ধ্ব কিন্তু ১০ কোটি টাকার নিচে স্থিতির ঋণের (ঋণগ্রহীতা ভিত্তিক) বিপরীতে আরোপিত মুনাফা আয়খাতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে শাখা প্রধানের সুপারিশসহ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। ১০ কোটি টাকা ও তার চেয়ে বেশি স্থিতির ঋণ বা বিনিয়োগের (ঋণগ্রহীতা ভিত্তিক) বিপরীতে আরোপিত মুনাফা আয়খাতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের পর্যালোচনা (যৌক্তিকতা উল্লেখপূর্বক), অডিট কমিটির সুপারিশসহ পরিচালনা পর্ষদ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। পাঁচ কোটি টাকার নিচে স্থিতির ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে আরোপিত সুদ বা মুনাফা আয়খাতে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে শাখা প্রধানের সুপারিশসহ তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।
উল্লিখিত বিষয়সমূহ বিবেচনায় নিয়ে কোনো ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে আরোপিত সুদ আয় খাতে স্থানান্তর করা না হলে তা ইন্টারেস্ট সাসপেন্স হিসাবে স্থানান্তর করতে হবে। ঋণের বিপরীতে স্পেসিফিক প্রভিশন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ঋণের শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিংয়ের বিধান অনুযায়ী আবশ্যিক প্রভিশন হিসাবায়নপূর্বক যথারীতি প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। ঋণের বিপরীতে জেনারেল প্রভিশন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ঋণ/বিনিয়োগের শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিংয়ের বিধান অনুযায়ী আবশ্যিক প্রভিশন হিসাবায়নপূর্বক যথারীতি প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে যা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়।