প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:০১ এএম আপডেট: ১১.১২.২০২০ ৭:০৯ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে করা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও ভাস্কর্যবিরোধী প্রচারণায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে মানহানি মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ছাড়াও হেফাজত ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলনের নেতা সৈয়দ ফয়জুল করিমকে আসামি করা হয়েছিল এ মামলার আর্জিতে। আদালত তাও খারিজ করে দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার। মামলার আবেদন পাওয়ার পর বুধবার তিনি অভিযোগের বিষয়ে বাদীর জবানবন্দি শুনেছিলেন। এ আদালতের পেশকার সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিভাবে বাদী সংক্ষুব্ধ হলেন, তার কোনো ব্যাখ্যা মামলায় পাওয়া যায়নি। মামলা গ্রহণ করার মত কোনো উপাদান না থাকায় বিচারক মামলা খারিজের আদেশ দেন।’ গতকাল বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দ-বিধির ৫০০/৫০৬/৪২৭/১০৯ ধারায় এ মামলার আবেদন করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। আর্জিতে মানহানি ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
এ বি সিদ্দিকীর দাবি অনুযায়ী, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এটি ছিল তার করা সপ্তম এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দশম মামলা। মামলার আর্জিতে বলা হয়, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নস্যাৎ করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানো ও জাতির পিতার চিহ্ন মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানিদের দালালচক্র বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব ইসলামিক জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী গু-াবাহিনী দিয়ে ৪ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্যের একটি হাত ভেঙে দেয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের মধুর ভাস্কর্যের একটি কান ভেঙে দেয়।‘ ১৩ নভেম্বর রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবন মিলনায়তনে হেফাজত ইসলামের আলোচনা সভায় হেফাজত ইসলামের মামুনুল ‘বাংলাদেশে কোনো ধরনের ভাস্কর্য থাকবে না এবং জাতির পিতার ভাস্কর্য করতে দেওয়া হবে না’ এমন হুমকি দেন বলে তার এ মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়। আর ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম হাটহাজারীতে হেফাজতের আমির বাবুনগরী সরকারের প্রতি ‘ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ না করলে আরও একটি শাপলা চত্বর ঘটানোর’ হুমকি দেন বলে উল্লেখ করা হয় সেখানে। একই দিন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে ইসলামিক আন্দোলনের জনসভায় ফয়জুল হকও ‘ভাস্কর্য ভেঙে বুড়িগঙ্গায় ফেলার ও শাপলা চত্বরে জমায়েতের’ হুমকি দেন বলে আর্জিতে অভিযোগ করেন বাদী।