প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:০১ এএম আপডেট: ১১.১২.২০২০ ৭:০৮ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা সাত হাজার ছুঁইছুঁই করছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৮৬১ জন। তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং নয়জন নারী। ৩৬ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং একজন মারা গেছেন বাড়িতে। এর ফলে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয় হাজার ৯৬৭ জনে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৮৬১ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৫ জন হয়েছে। আর গত একদিনে মারা যাওয়া ৩৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ৯৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪ হাজার ৪৮৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ১০ হাজার ৪৫২ জন হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৬ নভেম্বর তা সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩২তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৬ কোটি ৮৯ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৫ লাখ ৭০ হাজার। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১২টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ১০টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৪০টি ল্যাবে ১৬ হাজার ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৯২৯টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৫টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫৪টি। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ আর নারী ৯ জন। তাদের মধ্যে ৩৬ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ৩ জন করে মোট ৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ২৩ জন ঢাকা বিভাগের, ৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন করে মোট ৪ জন রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের এবং ৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ৯৬৭ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৩২৬ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৬৪১ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৭৪২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৭৯৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮৩২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৫৫ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৩ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৮৩ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২৯৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪১৬ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫০৫ জন খুলনা বিভাগের, ২২৯ জন বরিশাল বিভাগের, ২৭৩ জন সিলেট বিভাগের, ৩১২ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৫২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।