প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:০১ এএম আপডেট: ১১.১২.২০২০ ৭:০৮ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
গত বছরের মে মাসে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রিপোর্ট প্রকাশ করার পর এবার মুখ খুললো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করে দেশটি। দেশটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তান হিন্দু ও খ্রিস্টান নারীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চলছে। তাদেরকে চীনে যৌনদাসী বা রক্ষিতা বানিয়ে পাঠানো হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার এক বিশেষ রিপোর্টে এ তথ্য জানান ইউএস অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম এর স্যামুয়েল ডি ব্রাউনব্যাক। ওই রিপোর্টে তিনি জানান, জোর করে যৌনদাসী হতে বাধ্য করা হচ্ছে পাকিস্তানের হিন্দু ও খ্রিস্টান নারীদের। এছাড়া তাদের জোর করে অনিচ্ছুক বিয়ে দিয়ে পাঠানো হচ্ছে চীনে। তিনি আরো জানান, তাদের পেছনে কার্যকর কোনো সমর্থন নেই। তারপরেও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্য রয়েছে। যা তাদের আরো দুর্বল করে তুলছে। এদিকে গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মাইকেল পম্পে ১০টি দেশকে সিপিসি বা ‘নির্দিষ্ট উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
দেশসমূহ হল- পাকিস্তান, চীন, ইরান, সৌদি আরব, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, নাইজেরিয়া, উত্তর কোরিয়া, মিয়ানমার এবং ইরিত্রিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি এই দেশগুলোতে কোন ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন নেই। মাইকেল পম্পে এই দেশগুলির বিরুদ্ধে ‘গুরুতর ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন’ অভিযোগ আনেন। এছাড়া তিনি কোমোরোস, কিউবা, নিকারাগুয়া এবং রাশিয়াকেও ‘ধর্মীয় স্বাধীনতার মারাত্মক লঙ্ঘন’ অভিযোগ করে জাতিসংঘকে একটি বিশেষ নজরদারি তালিকায় রাখারও আহ্বান করেন। উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসের ইউএস কমিশন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয় আহমাদিয়া, হিন্দু, খ্রিস্টান এবং শিখসহ সংখ্যালঘুদের জোর করে ধর্ম গ্রহণ বা ধর্মীয় বা বিশ্বাসের স্বাধীনতাকে কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কথা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রায় ৮০ জন ব্যক্তি ধর্মীয় নিন্দার অভিযোগে পাকিস্তানে কারাবরণ করেছেন এবং কমপক্ষে অর্ধেককে যাবজ্জীবন কারাদ- বা মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে।