খুলনাকে হারিয়ে ঢাকার টানা চতুর্থ জয়
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৫৯ পিএম আপডেট: ১১.১২.২০২০ ৭:০৮ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
খুলনাকে হারিয়ে টানা চার জয়ে ঢাকা এখন অনেকটাই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। নতুন যাদু মন্ত্রে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে মুশফিকের ঢাকা। গতকাল খুলনার বিরুদ্ধে তারা ২০ রানের সহজ জয় তুলে নিয়েছে। তারকা খচিত খুলনাকে হারাতে খুব বেশি বেগ পতে হয়নি ঢাকার। খুলনার সাথে দ্বিতীয় মোকাবিলায় ব্যাট ও বল দুই বিভাগেই দাপট দেখিয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা। ব্যাট হাতে সাব্বির-নাঈমদের পরে বল হাতেও দলের ভরসার প্রমাণ দেন রবি-মুক্তাররা। দলগত এই নৈপূণ্যে ২০ রানের জয় পেয়েছে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দলটি। টস হেরে আগে ব্যাট করে বেক্সিমকো ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ১৭৯ রান। সাব্বির রহমানের সাথে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে সাকিব আল হাসানের ওপরে চড়াও হয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ২৬ রান সংগ্রহ করেন মোহাম্মদ নাঈম। ১৭ বলে ৩৬ রান করে শহিদুল ইসলামের শিকার হন তিনি। দলে যোগ দিয়েই একাদশে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগান আল আমিন জুনিয়র। তিনি ২৫ বলে ৩৬ রান করেন। নাঈমের মতোই এক ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান আকবর আলীও। তার আক্রমণে একরকম বিধ্বস্ত হন নাজমুল ইসলাম অপু। এই বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান ১৪ বলে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এরপরে আর কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি। তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন সাব্বির। ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা সাব্বির করেন ৩৮ বলে ৫৬ রান। তার ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ৩ ছয়, স্ট্রাইকরেট ১৪৭.৩৬। এদিন খুলনার পক্ষে মাশরাফি ২৬/১, হাসান ২৩/১ ও শহিদুল ৩১/২ উইকেট শিকার করেন। বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। ঢাকার পক্ষে প্রথম দুইটি সাফল্যই এনে দেন রবিউল ইসলাম রবি। জাকির হাসানকে ১ রানে ও সাকিব আল হাসানকে ৮ রানে সাজঘরের পথ দেখান এই স্পিনার। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৬ বলে ২৩ রান করেন। মাশরাফি ১ ও আরিফুল ৭ রানে ফিরে যান। সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন শামীম হোসেন। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ক্রিজে। ২ চার ও ২ ছক্কায় ৯ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন এই তরুণ। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে অর্ধশতক তুলে নেন জহুরুল ইসলাম। তিনি ৩৬ বল মোকাবিলা করে ৫৩ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চারের ও ২টি ছয়ের মার। তবে তার একার এই লড়াই খুলনাকে জেতাতে সক্ষম হয়নি। খুলনা অলআউট হয়েছে ১৫৯ রানে। ফলে ঢাকা পায় ২০ রানের জয়। ঢাকার পক্ষে রুবেল হোসেন ও মুক্তার আলি ২টি করে উইকেট নেন। রবিউল ইসলাম রবি একাই ৫টি উইকেট ঝুলিতে পোরেন।
বরিশালের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের ৭ উইকেটের জয় :দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের মুখোমুখি হয় ফরচুন বরিশাল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিয়েও যুতসই পুঁজি সংগ্রহ করতে ব্যর্থ তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করতে সমর্থ্য হয় তারা। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১৮.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম জয়ের বন্দর পৌঁছে যায়। স্কোর :ফরচুন বরিশাল ১৪৯/৬। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১৫৩/৩।