প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৫৯ পিএম আপডেট: ১১.১২.২০২০ ৭:০৭ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা বাধা বিপত্তি মোকাবিলা করে গতকাল পূর্ণ অবয়ব নেয় পদ্মাসেতু। সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের ঐকান্তিক চেষ্টায় সফল হয় পদ্মা সেতুর কাজ। এখন শুধু বাকি রেলপথ স্থাপন। ৩০ হাজার কোটি টাকায় ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে একইসঙ্গে চলবে ট্রেনও। মূল সেতুর কাজটি সেতু বিভাগের অধীনে বাস্তবায়িত হলেও রেল সংযোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রেল বিভাগ। এই রেলপথ স্থাপন প্রকল্পে বিদ্যুতের ব্যয় সাশ্রয়ের জন্যে বসানো হবে ১৪টি স্টেশনে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ পাস হয়। বৈঠকে ছিলেন কমিটির সদস্য রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, আসাদুজ্জামান নূর, মো. শফিকুল আজম খান, মো. সাইফুজ্জামান, গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ ও নাদিরা ইয়াসমিন জলি। সেই সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র জানায়, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নেট মিটারিং নির্দেশিকা-২০১৮ অনুযায়ী রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে প্রাথমিকভাবে ‘রুফটপ সোলার সিস্টেম’ স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্টেশন, জংশন ও ওয়ার্কশপে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপনের প্রস্তাব পেশ করা হয়। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ভাঙ্গা, নড়াইল হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেল সংযোগ প্রকল্পে সহযোগিতা করছে চীন। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি) প্রকল্পটির কাজ হাতে নিয়েছে। বিশাল রেল সংযোগ প্রকল্পটির ব্যয় প্রায় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঋণ দিবে চীন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ছয় বছর। পদ্মা সেতু রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশনের সদস্য দেশগুলো আন্তর্দেশীয় যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের লক্ষ্যে সুষ্ঠু রেলওয়ে কানেকটিভিটি স্থাপন হবে। উল্লেখ্য, এই রেল-সংযোগ প্রকল্পের সুপারভিশন পরামর্শক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এবং বুয়েটের বিআরটিসি সমন্বয়ে গঠিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর।