প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৫৯ পিএম আপডেট: ১১.১২.২০২০ ৭:০৬ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে চালু হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ আয়োজিত করোনা মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সরকারের নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজ বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় সেখানে। ওই অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি একথা জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। প্যানেল আলোচকদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সিনিয়র গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফেরদৌসী নাহার, ইকোনোমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ড. সাজ্জাদ জহির, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, ইউরোপ ইউনিয়নের হেড অব ডেলকেশন এবং ঢাকা নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনজি টেরিংক। পদ্মা সেতুর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান বাস্তবতার নাম। এটি এখন প্রায় সমাপ্ত। আমি মনে করি ২০২২ এর জুনেই আমরা এটি উন্মুক্ত করতে পারব।’ তিনি আরো বলেন, আমি আট বছর সেতু বিভাগের সচিব ছিলাম। ফলে আমি এখনও এটিকে দেখাশোনা করে থাকি।’ প্রসঙ্গত, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে সর্বশেষ স্প্যানটি অর্থাৎ ৪১তম। ৪০তম স্প্যানের ৬ দিন পর বসানো এ স্প্যান। স্প্যানের দৈর্ঘ্যে ছিল ১৫০ মিটার। সবমিলিয়ে সেতুর অবকাঠামো দৃশ্যমান হয় ৬ হাজার ১৫০ মিটার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাড়ে ৮২ শতাংশের বেশি পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮৮.৩৮ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের চুক্তি মূল্য ধরা হয় ১২ হাজার ১৩৩.৩৯ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৭২৩ দশমিক ৬৩ কোট টাকা। নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৭৫.৫০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬৫.১৭ শতাংশ। নদীশাসন কাজের চুক্তি মূল্য ৮ হাজার ৭০৭.৮১ কোটি টাকা এবং এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ৬৭৪.৪৮ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানো হয় ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর।