শুভা-নোভা দুই বোন। মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানীরা তাদের জোর করে বিয়ে করে। কিন্তু এটি বিয়ের নামে প্রহসন! পালাক্রমে দুই বোনের উপর চলতো অমানুষিক নির্যাতন। যুদ্ধ শেষ হয়ে যায় কিন্তু ততদিনে শুভা-নোভার গর্ভে চলে আসে সন্তান। ঘরে ফেরার সময় জানতে পারে পরিবারের আর কেউ বেঁচে নেই। শুরু হয় দু’বোনের নতুন ভাবে বেঁচে থাকার সংগ্রাম।
সৈয়দ ইকবালের এমন গল্পে নির্মিত হয়েছে বিজয় দিবসের নাটক ‘জননীর চোখ’। ফ্যাক্টর থ্রি সলিউশনসের প্রযোজনায় নাটকটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন অনিক বিশ্বাস। এ নাটকে শুভা চরিত্রে অভিনয় করেছে নুসরাত ইমরোজ তিশা এবং নোভা চরিত্রে অভিনয় করেছে নুসরাত জান্নাত রুহী।
পরিচালক অনিক বিশ্বাস বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শুধু মানুষ মারা গেছে তা নয়। তৎকালীন স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তার হাজারও নারী তাদের সম্মান হারায়, নির্যাতিত হয়। সুখের সংসার লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। তেমনই এক পরিবার ও দুই বোনের গল্প উঠে এসেছে ‘জননীর চোখ’ নাটকে। নাটকে আমি মুক্তিযুদ্ধের কিছু দেখাইনি কিন্তু ওই সময়ে দুই বোনের জীবনে লোমহর্ষক চিত্র দেখিয়েছি।