গাজীপুরের কালীগঞ্জে পূর্ব শত্রæতার জেরে থানা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মোল্লার নেতৃত্বে স্থানীয় এক শিক্ষক পরিবারের ছোট-বড়-মাঝারী সাইজের অর্ধশতাধীক গাছ কর্তন করা হয়েছে। বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরে শিক্ষক মো. ওমর আলী মোল্লা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন।
এর আগে এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষে ওই শিক্ষকের ছোট ভাই মো. হাশেম মোল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিয়ষটি নিশ্চিত করে বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, সকালে ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য দেখা হচ্ছে। দায়িদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগকারী শিক্ষক কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বালীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক। তাঁর বাড়ী উপজেলার জাঙ্গালীয়া (মোল্লাবাড়ী) গ্রামে। নেতৃত্বদানকারী বিএনপি নেতা একই এলাকার মৃত আলমাছ মোল্লার ছেলে।
শিক্ষকের ভাই হাশেম জানান, অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুস দীর্ঘদিন যাবৎ নানা বিষয়ে শত্রæতা করে আসছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে তার প্রভাবে তার লোকজন দিয়ে তাদের পরিবারকে হয়রানী করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ ডিসেম্বর বিকেলে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সালিশ চলা অবস্থায় ওই বিএনপি নেতা কুদ্দুস মোল্লার নেতৃত্বে আতিক, কবির, আসিফ, জাকাত, মোর্শেদ, তোফাজ্জলসহ প্রায় ৮/১০ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের দখলকৃত জমিতে গিয়ে অস্থায়ী সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে। এ সময় ওই জমিতে থাকা ছোট-বড়-মাঝারী সাইজের অর্ধশতাধীক আম, কাঁঠাল, কলা ও লেবু গাছ কেটে চলে যায়। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় ওই বিএনপি নেতা বাহিনী। তবে এ ব্যাপারে সঠিত বিচার পাবার আশায় তাদের পরিবারের পক্ষে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।
অভিযুক্ত কালীগঞ্জ থানা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। তবে শুনেছি কয়েকটা কলা গাছ আর একটা আম চারা হয়েছে। এর বাহিরে যদি কোন গাছ কাটা হয়ে থাকে তাহলে তারা নিজেরা করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তবে দাবি ও দখলকৃত সম্পত্তি মাস্টারদের না। কিন্তু যা হয়েছে তা স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সালিশি সিদ্ধান্তেই হয়েছে।
এ ব্যাপারে জাঙ্গালীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সারোয়ারের ব্যবহৃত মুঠো ফোনে একাধীকবার ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।