প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:০০ পিএম আপডেট: ০৮.১২.২০২০ ৪:০২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ফদ্রখলা গ্রামের মাদ্রাসায়ে আনোয়ারে মদিনার শিক্ষক মাওলানা নোমান কবিরের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হলেও এখন পর্যন্ত লম্পট শিক্ষক ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে, মামলাটি তুলে নিতে বাদিকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেকেই তার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষুব্ধ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। তবে পুলিশ বলছে, অচিরেই অভিযুক্ত শিক্ষক নোমান কবিরকে গ্রেফতার করা হবে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, বাহুবলের ফর্দখলা গ্রামের আনোয়ারে মদিনা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নোমান কবির হাত-পা, মাথা ম্যাসেজ করে দেয়ার নামে মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্রদেরকে তার খাস কামড়ায় ডেকে নিয়ে প্রায় প্রতিদিন ই কোনো না কোনো ছাত্রকে বলাৎকার করতেন। ধর্ষক নোমান কবিরের হুমকি ও লোকলজ্জার ভয়ে ছাত্ররা এতদিন মুখ বুঝে সহ্য করে আসলেও গত অক্টোবর মাসে রামশ্রী গ্রামের এক আবাসিক ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। বলাৎকারের স্বীকার ছাত্রটি বাড়ি গিয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানালে তার বাবা মোতাব্বির মিয়া গত ২৭ অক্টোবর বাহুবল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নোমান কবীরকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পরপরই বাহুবল থানা পুলিশ আসামি গ্রেফতারে মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায়। কিন্তু পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
আসামি মাওলানা নোমান কবীরের চাচাতো ভাই মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক মাওলানা মিছবাহর নেতৃত্বে ফদ্রখলা গ্রামের বখাটে সাইফুর রহমান, রুবেল মিয়া ও গরুর ডাক্তার আব্দুল আওয়াল, শওকত আলী, আব্দুস সোবহানসহ তার লাঠিয়াল বাহিনীরা বাদী নবীগঞ্জ মসজিদের ইমাম মোতাব্বির হোসেন ও তার স্বাক্ষীগণকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে আসছেন।
এদিকে নির্যাতনের স্বীকার ছাত্রের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার একমাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেডিকেল সার্টিফিকেট দেয়নি ফলে মামলার চার্জশিট দাখিল করতে বিলম্ব হচ্ছে। ফদ্রখলা গ্রামের মুরুব্বি আব্দুস সোবহান ও লাকড়ি পাড়া গ্রামের শওকত আলী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাঁপ করছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৩ অক্টোবর বাহুবল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অর্থাৎ পায়ূপথে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করেন এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেন এসআই ফুয়াদ আহমেদকে।
এ ব্যাপারে বাহুবল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান জানান, আসামি নোমান কবিরকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে। অচিরেই সে ধরা পড়বে বলে জানিয়েছে ।