বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
হেফাজতের দৌরাত্ম্যে লাগাম টানতে কঠোর সরকার
মিথুন মুৎসুদ্দী
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:০৭ এএম আপডেট: ০৮.১২.২০২০ ২:১৯ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ

সারা দেশে উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর তৎপরতা রুখতে এবং ধর্মের দোহাই দিয়ে যেকোনো অস্থিতিশীলতা বন্ধ করতে কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার। বিশেষ করে ভাস্কর্য ইস্যুতে সৃষ্ট অস্থিরতা ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্ত এবং তাদের প্ররোচনাদানকারীদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সরকারের সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাফ বলে দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যারা ভেঙেছে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। এর আগের দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল হেফাজতে ইসলামের উদ্ধত নেতাকর্মী এবং তাদের ইন্ধনকারীদের ইঙ্গিত করে বলেছেন, দেশে কোনো অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ মনে করেন তারা অনেক শক্তিশালী হয়ে গেছেন, এটা তাদের ভুল ধারণা।

নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের নেতা মামুনুল হক, ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ ফয়জুল করিম ও হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ দেশের সব ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়। প্রকাশ্যে এসব হুমকির পর সরকার তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও সরকারির দলের কেউ কেউ কড়া ভাষায় হুমকিদানকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ক্ষমতাসীনদের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিকর্মী ও রাজনৈতিক কর্মীরা এসব প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর কঠোর সমালোচনা করেন। তারা ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যকে জাতীয় চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের সংবিধান পরিপন্থী বলেও জানান। প্রতিবাদী সমাবেশ ও মিছিল করে মামুনুল হক, বাবুনগরীসহ উগ্রবাদী বক্তব্যদানকারী নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের দাবি জানান। কিন্তু তাতে দমেনি  হেফাজতের নেতারা। উল্টো ভাস্কর্যবিরোধী ফতোয়া দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। সবশেষ গত শুক্রবার রাতের আঁধারে কুষ্টিয়ায় নির্মিয়মান বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে দেয় দুর্বৃত্তরা। ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই মাদরাসাছাত্রসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। আটকরা স্বীকার করেছে হেফাজত নেতৃবৃন্দের ভাস্কর্যবিরোধী ফতোয়া থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পর সারা দেশে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে সরকার কার্যত কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলাচত্বরের তা-বের ঘটনায় হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোও সচল হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকারি সূত্র। এছাড়া গতকাল সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল গতকাল মামুনুল হক, জুনায়েদ বাবুনগরী ও সৈয়দ ফয়েজুল করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করেছেন। একই সময়ে মাওলানা মামুনুল হককে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক। আদালত এ দুই মামলার তদন্ত করে ৭ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।
জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় মূলত সরকার এবং হেফাজতে ইসলাম মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে। নিজেদেরও অরাজনৈতিক দাবি করলেও হেফাজতের এমন রাজনৈতিক তৎপরতা এবং তাদের পেছনে ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে সরকার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সরকারের এ অবস্থানকে মৌলবাদের বিপক্ষে সাহসী অবস্থান বলেই মনে করছেন এবং দেরিতে হলেও সরকারের এমন অবস্থানের প্রশংসা করছেন।

জানা গেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলা ধীরগতিতে চললেও এখন এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চায় সরকার। দেশে অস্থিতিশিলতা তৈরির যে কোনো চেষ্টা বা দুর্বৃত্তপনায় জড়িত কাউকে এক চুলও ছাড় দিতে চাইছে না তারা। অপরদিকে নিজেদের ‘অরাজনৈতিক’ দাবিদার হেফাজতে ইসলামের নেতারা একইসঙ্গে সংবিধান ও মদিনার সনদের দোহাই টেনে বলছে-তারা ভাস্কর্য তৈরির বিপক্ষে কথা বলেই যাবেন এবং তারা আন্দোলনও করবেন। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার বলেই মনে করছেন। গত শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক এমন দাবি তুলে বলেন, মদিনার সনদ বাস্তবায়নের দাবি সংবিধানসম্মত। তার এ বক্তব্য উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে আরো উত্তপ্ত করে তুলেছে। বিক্ষুব্ধ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা মনে করছেন, হেফাজত নেতাদের সব বক্তব্যই সংবিধানবিরোধী এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। তাদের এসব বক্ত্যবের মধ্য দিয়ে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদী মতাদর্শ পুষ্ট হয়, পাকিস্তানি ভাবধারা আস্কারা পায়। কোনো ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনাই হলো ধর্মনিরপেক্ষতা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সকল মত, ধর্ম, চিন্তা ও সৃষ্টিশীলতা সমান অধিকার ভোগ করবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আর থাকে না। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এসব উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে দাঁড়াতে হবে। সেইসঙ্গে ধর্ম নিয়ে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। মামুনুল হকসহ হেফাজত নেতারা যে পরিস্থিতি তৈরি করতে চেষ্টা চালাচ্ছে, তার পেছনে স্বাধীনতাবিরোধীদের ইন্ধন লুকিয়ে আছে কি না খতিয়ে দেখার কথাও বলছেন অনেকে। কারণ বারবারই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ধর্মের নামে সংঘাত তৈরি করে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছে।
সরকারি মহল থেকে বলা হচ্ছে, যে কোনো উগ্রবাদী বক্তৃতা এবং উসকানিমূলক কর্মকা- দমাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের সব ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আদালত থেকেও এসেছে নির্দেশনা। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন, ধোলাইপাড়ে ভাস্কর্য নির্মাণকাজ চলবেই এবং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের উপর হামলার ধৃষ্টতা যারা দেখাবে তাদেরকে দিতে হবে চরম মূল্য। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ থেকে এক বিন্দুও সরে আসবেন না তারা। শুধু তাই নয়, বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প, সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবেন না তারা। এ ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে যারা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী তাদের আর মাঠে নামতে দেবে না। ইতোমধ্যেই ঢাকা শহরে অনুমতি ছাড়া সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপও করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৫ মের ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় হেফাজতে ইসলামের নেতাদের ৮৩টি মামলা করা হয়। ওইসব মামলায় ৩ হাজার ৪১৬ জনের নামসহ ৮৪ হাজার ৯৭৬ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে হেফাজত ও বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার নাম রয়েছে। তাছাড়া ১৮টি মামলা আদালতে বিচারাধীনও আছে। বর্তমানে ৬২টি মামলার তদন্ত ঝুলে আছে থানায়। ওইসব মামলায় তদন্তকারী সংস্থাগুলো নজরই দিচ্ছে না বলে অভিযোগ ছিল। মামলার তদন্ত নিয়ে পুলিশ-র্যাব ও বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ কর্তারা বসেছেন দফায় দফায়। তাছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত রোববার বিশেষ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় ঝুলে থাকা মামলাগুলো আবার সচল করা হবে। মামলাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তের পর অভিযোগপত্র দিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় বিশেষ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এব মামলায় আসামি আছেন হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা মইনুদ্দিন রুহী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফরিদ উল্লাহ, মাওলানা শামসুল আলম, মাওলানা মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা জুলফিকার জহুর, জামায়াত নেতা মাওলানা হাফিজুর রহমান, হাজি জালাল উদ্দিন, এমএ কাসেম ফারুকী, হেফাজত নেতা মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মহিউদ্দিন, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জামায়াত নেতা হাফেজ মাহমুদুল হক শাহীন, বিএনপি নেতা মো. শাহজাহান, শাহ আহমদ শফীর ছেলে ও হেফাজত নেতা মাওলানা আনাস মাদানী, আবুল মালেক হালিম, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ক্বারি ফজলুল করীম, মুফতি হারুন ইজহার, মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, মাওলানা ইলিয়াস ওসমানী, মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, আবদুল কুদ্দুস, নুরুল ইসলাম, আবুল হাসানাত আমিনী, মোস্তফা আযাদ, মুফতি নুরুল আমিন, মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আতাউল্লাহ তামিম, মাওলানা গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, শেখ লোকমান হোসেন, মুফতি সাইদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম মাদানী, মুফতি শামসুল হক, মুফতি মনির হোসেন, মাওলানা আবদুল কাদের, জামায়াত নেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম, আবদুল জাব্বার, ডাক্তার শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মাওলানা হেলাল হাসেমী, মাওলানা আবদুর রহমান, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, মাওলানা আবদুস সামাদ, মুফতি তৈয়বুর রহমান, মাওলানা জামাল উদ্দিন, মাওলানা আবদুল করিম, মাওলানা আনাস, মাওলানা আবদুর রহমান খান তালুকদার, মাওলানা মফিজুল ইসলাম, মাওলানা আলী আহমদ, মাওলানা আবদুল কাদের, মুফতি গোলাম মাওলা, মাওলানা আবদুর রহিম, ক্বারি বেলায়েত হোসেন, ওবায়দুর রহমান মাহাবুব, মাওলানা রুহুল আমিন খান, মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন, হাফেজ সাইদুর রহমান, মাওলানা কাজী জাবের, মাওলানা মহিব্বুল্লাহ, মাওলানা খুবায়ের আহমদ, মুফতি আরিফ বিল্লাহ, ওসমান গনি, একরামুল হক, মাওলানা রেজাউল করিম প্রমুখ। আসামিদের মধ্যে কয়েকজন মারাও গেছেন বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, উল্লিখিত আসামিদের মধ্যে বেশিরভাগই জামিনে আছেন। যেকোনো সময় তাদের জামিন আদালতের মাধ্যমে বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা শাহবাগ আন্দোলনের বিরোধিতা করে ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম সমাবেশ করে। সে সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। অগ্নিসংযোগ, কোরআন শরিফ পোড়ানো, পুলিশের ওপর হামলা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মামলা হয়।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]