প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৩৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঘন কুয়াশায় দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সোমবার দিনগত রাত ১১টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত টানা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। দীর্ঘ ১১ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় পাড়ে নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে নদী এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাত ১১টার দিকে নৌপথ কুয়াশার চাদরে ঢেকে ফেলে। এ পরিস্থিতিতে রাত ১১টার দিকে কর্তৃপক্ষ যে কোন ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষনা করে। সকাল ১০টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব কিছুটা কমে এলে ফের ফেরি চলাচল শুরু হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে ফেরি চলাচল টানা ১১ ঘন্টা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী ও পরিবহন চালকরা। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় নদীর শীতল বাতাসের মধ্যে সারা রাত আটকে থাকায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে শিশু ও মহিলা।
সাতক্ষিরা শ্যামনগর থেকে চেড়ে আসা এইচ আর পরিবহনের যাত্রী অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, রাত ১১ টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছেছি। এসে শুনি কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘাট এলাকায় রাত থেকে এখন পর্যন্ত আটকে থেকে মহা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি।
চুয়াডাঙ্গা থেকে পুশু (গরু) বোঝাই ট্রাক ড্রাইভার মো.ছিদ্দিক মিয়া বলেন, কুয়াশার মধ্যে ঘাটে ফেরি চলাচল না করায় আটকে পড়েছি। শীতের রাতে প্রচুর কষ্ট হয়েছে। ২য় পদ্মা সেতু হলে আমাদের য়াতায়াতে এতো কষ্ট হতো না। আমরা দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া ২য় পদ্মা সেতুর দাবী করছি।
বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহ-ব্যবস্থাপক মো. মাহাবুব হোসেন ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল রাত ১১টা থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল। নৌরুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। দূর্ভোগ কমাতে আটকে থাকা যাত্রীবাহি যানবাহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী পার করা হবে।