প্রকাশ: সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:০২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এক মাদ্রাসা সুপারের চাদা দাবী ভয়ভীতি ও মামলা সইতে না পেরে চিরকুট লিখে পটুয়াখালীর দশমিনা থানার টয়লেটে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন উপজেলার বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা তিন সন্তানের জনক আলাউদ্দিন খানের ছেলে লিটন খান (৩৫)। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাশবাড়িয়া রজ্জবিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সিহাব উদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ।
থানা ও স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, রজ্জবিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সিহাবউদ্দিন ও স্থানীয় বাসিন্দা মফিজ খান মিলে লিটন খানের ৪৪ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে দখল করে রাখেন। ওই জমিতে এক সপ্তাহ আগে লিটন খান ঘর তুলে। এঘটনায় মাদ্রাসা সুপার মাওলানা সিহাব উদ্দিন রোববার উপজেলা র্নিবার্হী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস এর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে উপজেলা র্নিবার্হী অফিসার দশমিনা থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
দশমিনা থানা পুলিশ রোববার সন্ধ্যায় মাদ্রাসা সুপার মাওলানা সিহাব উদ্দিন ও লিটন খানকে জমির কাগজপত্রসহ থানায় উপস্থিত হতে বলেন। থানায় উপস্থিত লিটন খান রোববার রাত ৮টায় বাড়িতে তার স্ত্রী মাসুদা বেগমকে ফোন করে থানার টয়লেটে গিয়ে তার সাথে থাকা বিষ পান করেন। এসময় দশমিনা থানা পুলিশ লিটন খানকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের ডা. সিফাত, লিটন খানকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রোববার রাত ১.২০ মিনিটে লিটন খানের মৃত্যু হয়।
লিটন খানের বাবা আলাউদ্দিন খান জানান, লিটন থানায় বসে ফোন দিয়ে একটি চিরকুটের কথা জানিয়েছিলেন। চিরকুটে লেখা আছে আমার জমি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য মাদ্রাসা সুপার মাওলানা সিহাব উদ্দিন ও স্থানীয় মকবুল খানের ছেলে মো: মফিজ খান একলাখ টাকা দাবী করেছে আমি টাকা দিতে না পারায় বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে হয়রানী করছে। তাই আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলাম। লিটন খানের আব্দুল্লাহ আল মামুন(১৩) আব্দুল্লা আল রহমান(৯) আব্দুল্লা আল জাবের (৭) নামের তিন ছেলে রয়েছে।
এব্যাপারে আটক মাদ্রাসা সুপার মাওলানা সিহাব উদ্দিন জানান, তিনি এসবের সাথে জড়িত নয়। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হচ্ছে। দশমিনা থানার ওসি মো: জসীম জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লিটন খানের লাশ গতকাল সোমবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার মো: ফারুক হোসেন জানান, ঘটনাটি অধিকতর গুরুত্বদিয়ে দেখা হচ্ছে।