প্রকাশ: সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:০৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এক সময় অনেক কষ্টে দিন কাটতো। ছিল টানাপোড়েনের সংসার । একপর্যায়ে কাঁচামরিচের চাষ শুরু করেন । ধীরে ধীরে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে। বর্তমানে মরিচ বেচেই লাখ টাকা আয় করছেন তিনি।
বলছি, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের আশরাফ আলীর কথা। এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে তার। আশরাফ আলীর দেখাদেখি অনেকেই কাঁচামরিচ চাষে ঝুঁকছেন।
চাষি আশরাফ আলী বলেন, বীজ রোপণের ৪৫-৫৫ দিনের মধ্যে মরিচ তোলা যায়। আমার এক বিঘা জমিতে মরিচ উৎপাদনে খরচ পড়ে ৮০ থেকে ১ লাখ টাকা। এরই মধ্যে দুই লাখ টাকার বেশি বিক্রি করেছি। আরো এক লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে।
তিনি বলেন, এখানকার উৎপাদিত মরিচ উন্নতমানের হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। সহজ শর্তে ঋণ ও উন্নত প্রশিক্ষণ পেলে আরো বেশি চাষ করা যাবে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব।
রবি মৌসুমে মরিচের চারা রোপণ করেন চাষিরা। পরে পৌষ মাসের শুরু থেকে বৈশাখ পর্যন্ত চলে মরিচ তোলার কাজ। এখন মরিচ তোলার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কুসুম্বি ইউনিয়নের চাষিরা।
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, এখানকার পলি দোআঁশ মাটি মরিচ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এ উপজেলায় এবার প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।