প্রকাশ: সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ভারতের শিলিগুড়িতে পুলিশ এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । পুলিশ বাধা দিতে গেলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জলকামান নিক্ষেপ করে । জবাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাথর নিক্ষেপ করে বিজেপির সমর্থকরা।
ভাঙচুর করা হয়েছে বেশকিছু গাড়ি দোকানপাট এবং ঘরবাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শিলিগুড়ি। এ অবস্থায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুলসংখ্যক পুলিশ আনা হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু এবং কমপক্ষে ২০ জন আহতের দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পুলিশ অথবা তৃণমূল সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহতের অভিযোগ করেন তিনি।
এমন কি কাল মঙ্গলবার(০৮ ডিসেম্বর) উত্তরবঙ্গ বনধ ডাকার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, পুলিশের গুলি কিংবা পুলিশের সঙ্গে থাকা তৃণমূল সন্ত্রাসীদের গুলিতে মৃত্যু বলে দাবি করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।
মূলত, উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে ব্যর্থ তৃণমূল সরকার, এর জেরে উত্তরকন্যা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ডাক দেন স্থানীয় বিজেপির নেতাকর্মীরা। দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুরা মিছিল করে এগোতেই আটকে দেয় পুলিশ। উত্তরকন্যা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার আগে ফুলবাড়িতে আটকে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সময় সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলা থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা শিলিগুড়ির দিকে অগ্রসর হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, বাধা উপেক্ষা করেই বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা সমাবেশ স্থলে পৌঁছান। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি।