উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: ড. শাহীনূর রহমান
প্রকাশ: রোববার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৩৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পদ্মা সেতু আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। এক সময়ের স্বপ্নের সেতু এখন দৃষ্টিসীমায় দিগন্তজুড়ে দাঁড়িয়ে। পদ্মার তীর থেকে দেখা যাচ্ছে পিলারের দীর্ঘ সারি। তার উপর একে একে বসানো হচ্ছে ইস্পাতের কাঠামো (স্প্যান)। করোনা সংকটের মধ্যেও থেমে নেই বাংলাদেশের স্বপ্নের স্থাপনা পদ্মা সেতুর কাজ। পদ্মা সেতু একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ১৮০ তম পর্বে এসব কথা বলেন আলোচকরা। রবিবার (০৬ ডিসেম্বর) আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এবং দুদকের সাবেক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. শাহীনূর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ড. মোহাম্মদ আলী মানিক। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ড. শাহীনূর রহমান বলেন, আজকের এই দিনে আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যে মহামানবের অবদানে আজ আমারা লাল সবুজের পতাকা নিয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করা দাড়িয়ে আছি, গভীর শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করছি ১৫ই আগস্টের সেই কালো রাতে তার পরিবারের যেসব সদস্যরা শাহাদাৎ বরণ করেছিলেন। গভীর শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করছি ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ ইজ্জত হারা মা বোনদের। গভীরভাবে স্মরণ করি জাতীয় ৪ নেতাকে। আজ আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাই আজকে সেই উগ্র প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিরা আজও ঘাপটি মেরে বসে আছে তারা এখনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসার পর থেকে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম করে বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন যার জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে আমাদের পদ্মা সেতু। ফিনিক্স পাখির মত বার বার ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনি বার বার বেচে গিয়েছেন এই দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে। তারই ফলশ্রুতিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। এই করোনাকালে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেখানে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে শেখ হাসিনা আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করেছেন। ৭১ এখনো আছে। যুদ্ধ এখনো চলমান। এর মধ্যে দুই পক্ষ হচ্ছে মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও এর বিপক্ষের শক্তি। আজকে যদি তাদেরকে আমরা কঠোর হস্তে দমন না করি তাহলে ভবিষ্যতে এরাই আবার আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করবে। উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনমত গড়ে তুলতে হবে।