অসীম কুমার উকিল বলেন, আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। আমার আগের আলোচক খুব ভালোভাবেই এটাকে বিশ্লেষণ করেছেন। তাই আমি এই বিষয়ে কিছু না বলে অন্য একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি। আজকে ৬ ডিসেম্বর। দিবসটা এমন বলা হয়, স্বৈরাচার পতন দিবস, গণতন্ত্র মুক্তির দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারি সরকারের পতন হয়েছিল। গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে, সামরিক জান্তাদের হাত থেকে, মৌলবাদীদের কবল থেকে। আমরা সেদিনকার মূল লক্ষ্য ছিল, রাতের আঁধারে ক্ষমতার পালা বদল নয়, জনগণের ভোটে ক্ষমতার পালা বদল হবে। সরকার গঠন করবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। সেই প্রক্রিয়াটি এখন অব্যাহত আছে। এর মাঝখানে অনেক গুলো ঘটনা হয়েছে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬, এই ২১টি বছর যারা বাংলাদেশকে চালিয়েছে তারা হলো, জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ ও বেগম জেনারেল খালেদা জিয়া! এই তিন জেনারেলের হাত ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির যে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে অর্থনীতিসহ সকল সেক্টর হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল। আজকে আবার ভাস্কর্য নিয়ে নতুন ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। আসলে এটাও রাজনীতি। তারা একেক সময় একেকটা আবরণে প্রকাশিত হয়। আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এই ষড়যন্ত্রের যে নতুন মাত্রা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এটা জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় এই সাম্প্রদায়িক শক্তি গড়ে উঠেছে। তারা একসময় বলেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে সারাদেশে মসজিদ থেকে লোক দূরে সরে যাবে, তারা বলেছে শান্তি চুক্তি বাস্তবিত বলে আখাউরা পর্যন্ত আগরতলা হয়ে যাবে। তারা বায়তুল মোকাররম পবিত্র চত্বরে দাড়িয়ে স্লোগান দিয়েছিল, 'আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান'। এরইমাঝে দাড়িয়ে আমরা আমাদের জননেত্রী, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি দুর্বার গতিতে।