প্রকাশ: শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:২৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ফলাফলে সর্বোচ্চ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ (জিপিএ) ৪.০০ হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি বিভাগের এক শিক্ষার্থীর এসেছে জিপিএ-৪.০৩।
এ ঘটনায় সমালোচনা চলছে সংশ্লিষ্ট বিভাগে। পরে সব শিক্ষার্থীর (প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা) ফল স্থগিত করে এক সপ্তাহ পর ‘সংশোধিত ফল’ প্রকাশ করেছে পরীক্ষা কমিটি। যে শিক্ষার্থী জিপিএ-৪.০৩ পেয়েছিলেন, সংশোধিত ফলে তার এসেছে জিপিএ-৩.৮৮।
জানা গেছে, ফল প্রকাশের পর ওই শিক্ষার্থীর সিজিপিএ-৪.০৩ আসলে তা নিয়ে শুরু হয় বির্তক। এতে বাকি শিক্ষার্থীরা সন্দেহ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে, সেই ফল স্থগিত করে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) আবার সংশোধিত ফল প্রকাশিত হয়। তবে যেখানে ১২ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীর সিজিপিএ কমে যায় ০.০৫ করে অর্থাৎ যার আগে ছিল সিজিপিএ-৩.৮২ এখন সিজিপিএ-৩.৭৭। আরেকজনের সিজিপিএ ৩.৯৯ এসেছিল পরে সংশোধিত ফলে সিজিপিএ-৩.৯৪ এসেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, সমস্যাটি মূলত PHR-101 কোর্সে। এই কোর্সে ৬-৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৪.০০ এ মধ্যে ৪.০০ পেয়েছিল। পরীক্ষা কমিটির ভাষ্য, এটা সংশোধন করতে গিয়ে তাদের ট্যাবুলেশন শিট পুনরায় চেক করে মোট ১২ জনের জিপিয়ে কমেছে ০.০৫ থেকে ০.০১০ পর্যন্ত। তাছাড়া PHR-105/106/107 কোর্সে অনেকের A+ ও A থেকে কমে A- ও B+ হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নম্বরপত্র ও ট্যাবুলেশন শিটের শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, আমরা সব সময় হার্ডকপিতে ফলাফল প্রকাশ করি। কিন্তু এবার কোভিড-১৯’র কারণে আমরা অনলাইনে ফলাফল প্রকাশ করেছি। সেখানে এক্সেল শিটে ক্যালকুলেশন করার সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে ভুল হয়েছে। তারপরও শিক্ষার্থীদের কোনো অভিযোগ থাকলে তা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে।