শনিবার ( ০৫ ডিসেম্বর ) জাতীয় প্রেসক্লাবের জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি কথা বলেন।
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্য করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপি যদি সত্যি চায় শেখ হাসিনার ক্ষমতার পট পরিবর্তন হোক তাহলে বিএনপির এখানে দায়িত্ব অনেক বেশি। কারণ তারেকের প্রশংসা করে কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। আপনারা যদি সত্যিকার অর্থে ক্ষমতায় আসতে চান, জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে খোকনের মতো যারা আছেন তাদেরকে নিয়ে মাঠে বসতে হবে। আমার মতে, জাইমাকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নামতে পারেন, তারেককে নিয়ে নয়।
‘আমি তারেককে কোনো দোষ দিচ্ছি না। স্ট্রাটেজি বলে একটা কথা আছে। আমরা বললেই তার বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার হবে না এবং বাংলাদেশের মাটিতে ফিরতে পারবেন না। একমাত্র গণতন্ত্রের বিজয় হলেই তারেক দেশে ফিরতে পারবেন।’
তিনি আরো বলেন, বিএনপির উচিত হবে খালেদা জিয়াকে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ না রেখে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে রোদে বসতে হবে। যাতে জনগণ দেখতে পায় তাদের নেত্রীকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে আন্দোলনকে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে যদি জাইমা আসে তাহলে তাকে নিয়ে সারাদেশ ঘুরে বেড়াবে। তখনই দেখবেন জোয়ার কিভাবে উঠে, তখনই শেখ হাসিনা টের পাবেন তার যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী এসেছে।
ঘরের ভেতর আমরা যেসব কথা বলি কাজে তা প্রমাণ করি না মন্তব্য করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বিশেষ করে বিএনপির বেলায় একথা প্রযোজ্য। বিএনপিতে যেখানে খোকন, হাফিজ ও আলালের মতো লোক আছে এবং এতগুলো তরুণ আছে। সেখানে খালেদা জিয়া কেন চুপচাপ গুলশানের মতো বাড়িতে আবদ্ধ থাকবে। জজ সাহেবরা একটা অন্যায় বিচার করেছেন। দুই কোটি টাকার জন্য সেই বিচার এখনো সমাপ্ত হয়নি। অন্তত পক্ষে জামিনটা তো অবশ্যই হওয়া উচিত।
সরকার জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ষড়যন্ত্র বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র কারা করেছে? এই সরকারই তো করেছে। এই ষড়যন্ত্রের মূল ভিত্তি দুর্নীতি। ৭ হাজার কোটি টাকা দিয়ে যে পদ্মা ব্রিজ হতো সেটা ৫০ হাজার কোটিতে পৌঁছেছে। এই টাকা কোথায় যাবে?