সাতক্ষীরা পৌর নির্বাচনকে নিয়ে বিতর্ক শুরু, নেতাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ!
প্রকাশ: শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ৪:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আসন্ন সাতক্ষীরা পৌর নির্বাচনকে ঘিরে সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাচনী প্রার্থীদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্কের রাজনীতি। পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও পৌর কাউন্সিলর জোৎন্সা আরার বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ।
পৃথক কাগজে কম্পিউটার কম্পোজ করা অভিযোগে বলা হয়েছে, ৪ ডিসেম্বর বিকাল ৪টার দিকে সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি সেল ফোনে কল করে তাদেরকে তার বাসভবনে ডেকে নেন। সেখানে কথাবর্তার এক পর্যায়ে তিনি আগামী পৌর নির্বাচনে জ্যোৎন্সা আরার পক্ষে একটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। অভিযোগকারীরা বিষয়টি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করেন। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর আবেদনে উক্ত স্বাক্ষর জোৎন্সা আরার পক্ষে গ্রহণ না করার অনুরোধ জানান।
পৃথক কাগজে কম্পিউটার কম্পোজকারীরা হলেন, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সেলিম, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন মিলন এবং ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় নিদের্শনা অনুযায়ী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা পাঠানোর জন্য ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। উক্ত আবেদনের সাথে যুক্ত করার লক্ষে এসব স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ বলেন, অভিযোগের কাগজ আমি দেখিনি তবে বিষয়টি শুনেছি।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ”এধরনের কয়েকটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”