প্রকাশ: শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:৩৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ
যে শঙ্কা ছিল সেটাই হলো। একের পর এক কাতার ফুটবলারদের আক্রমণের ঢেউ আঁচড়ে পড়ল বাংলাদেশ রক্ষণে। জামাল ভূঁইয়া-তপু বর্মনরা ৯ মিনিটে বেশি নিজেদের পোস্ট অক্ষত রাখতে পারল না। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে শুক্রবার ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে কাতারের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে কাতার এখন পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে রয়েছে।
অন্যদিকে, ৫ ম্যাচ খেলে ১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে তথা সবার নিচে রয়েছে বাংলাদেশ। বাছাইপর্বের কাতার বিপক্ষে এর আগেরবারের দেখায় বাংলাদেশ হেরেছিল ২-০ গোলে। সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। এদিন কাতারের রাজধানী দোহার আব্দুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে স্বাগতিক দলের আহমেদ আলার একটি আক্রমণ সাইড বারে লেগে প্রতিহত হয়। বিপদ থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ।
নবম মিনিটে ১-০ ব্যবধানে লিড নেয় কাতার। ডি-বক্সের মধ্যে বল পেয়ে তা বাংলাদেশের জালে পৌঁছে দেন আব্দুল আজিজ হাতেম। দশম মিনিটে কাতারের আরেকটি আক্রমণ প্রতিহত করেন বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকু। ২৫তম মিনিটে কাতারের আব্দুল করিমের একটি আক্রমণ সহজেই নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান।
৩৩তম মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে ফার পোস্ট লক্ষ্য করে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন আকরাম আফিফ। বাংলাদেশের গোলরক্ষক ঝাপিয়ে পড়লেও গোল বাঁচাতে পারেননি।
ম্যাচে বারবার কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক আনিসুরকে। বিরতির পরপরই তিনি কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ৫১তম মিনিটে তিনি কাতারের আরেকটি আক্রমণকে প্রতিহত করেন। ৫৮তম মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন বাংলাদেশ দলের বিশ্বনাথ ঘোষ।
৬৫তম মিনিটে লাফিয়ে উঠে বলতে গেলে একটি নিশ্চিত গোল থেকে দলকে রক্ষা করেন আনিসুর। ৭২তম মিনিটে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় কাতার। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন আলমোয়েজ আলী।
৭৮তম মিনিটে আলমোয়েজ আলী নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে কাতারকে ৪-০ গোলে এগিয়ে দেন। অতিরিক্ত সময়ে (৯০+২ মিনিট) আরো একটি গোল হজম করে বাংলাদেশ। ডি-বক্সের মধ্যে বল পেয়ে বাংলাদেশের গোলরক্ষককে বোকা বানান আকরাম আফিফ।
বাংলাদেশ একাদশ
আনিসুর রহমান জিকো (গোলরক্ষক), বিশ্বনাথ ঘোষ. রহমত মিয়া, তপু বর্মন, রিয়াদুল হাসান রাফি, জামাল ভূঁইয়া, বিপলু আহমেদ, সোহেল রানা, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মাহবুবুর রহমান সুফিল ও সাদউদ্দিন।