সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
জবিতে নাজুক পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, বিঘিœত শিক্ষার পরিবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:১৪ এএম আপডেট: ০৪.১২.২০২০ ১:৩৭ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ

অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অনেকটাই বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টিতেই ড্রেনগুলোতে জমে যায় পানি। ড্রেনগুলোর উপরেও রয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তূপ। ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ময়লা জমে চরম দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে ক্যাম্পাসে। ক্লাসরুমের পাশ দিয়ে যাওয়া ড্রেনগুলোর দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে সমস্যায় পড়তে হয় রীতিমতো। এভাবে পানি ও ময়লা আটকে থাকার কারণে বাড়ছে এডিসবাহিত মশার বংশবিস্তারের ঝুঁকিও। ফলে ক্যাম্পাসে ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কাও রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ ড্রেন খোলা এবং নোংরা অবস্থায় রয়েছে। গাছের পাতা পড়ে জায়গায় জায়গায় ময়লার স্তূপ হয়ে আছে। ড্রেনে ঢাকনা না থাকায় পাতা ও বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা পড়ে পানি আটকে রয়েছে। ফলে দিন দিন মশা ও মাছি বৃদ্ধি পাচ্ছে এখানে। এছাড়াও জায়গায় জায়গায় ড্রেনে ঢাকনা না থাকার কারণে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের ঝুঁকিতে পথ চলতে হয়। ক্যাম্পাসের মূল ফটক দিয়ে ঢুকতেই হাতের ডান পাশের ড্রেনেরই বেহাল দশা। একটু দাঁড়ালেই চোখে পড়ে, দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা আবর্জনা ও মলমূত্রাদিসহ নোংরা পানির স্রোত। এছাড়াও ক্যাম্পাসের তৃতীয় গেটে নাট্যকলা ভবনের পাশের ড্রেনের অবস্থাও খুব শোচনীয়। দৃশ্যমান ময়লা আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানির স্রোতের পাশাপাশি ড্রেনের ঢাকনা না থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের। গণিত ভবনের পেছনের ড্রেনে পড়ে আছে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের উচ্ছিষ্ট। রয়েছে ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানির স্রোত। এছাড়াও গণিত ভবনের পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মচারী কবুতর পালন করার কারণে প্রায় কবুতরের বিষ্ঠা ড্রেনের মধ্যে জমে থাকতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেন, ‘নিয়ম ভঙ্গ করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী একাডেমিক ভবনগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। এই কর্মচারীরা বসবাস করায় তারা যাবতীয় উচ্ছিষ্ট, বর্জ্য ফেলেন ড্রেনেই। ফলে এসব ময়লা আবর্জনার কারণে ড্রেনের পানি নিষ্কাশনে সমস্যা দেখা দেয়।’ এছাড়াও ড্রেনেগুলোর পানি নিষ্কাশনের যথার্থ ক্ষমতা না থাকায় বর্ষায় অল্প বৃষ্টিতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের সামনে হাঁটু পানি জমে যায়। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পানি দিয়েই যাতায়াত করেন। এছাড়া প্রশাসনিক ভবনের পাশে বিজ্ঞান ভবনে যাওয়ার রাস্তা, নতুন বিল্ডিংয়ের সামনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটের সম্পূর্ণ অংশ সামান্য বৃষ্টিতেও ডুবে থাকে পানিতে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী এহসানুল হক বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসের ড্রেনগুলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। দুর্গন্ধের কারণে আমাদেরকে নাক-মুখ ঢেকে চলতে হয়। এছাড়াও ঢাকনা না থাকার কারণে খুব সাবধানতার সঙ্গে ড্রেনের উপর দিয়ে হাঁটতে হয়। বর্ষার সময় সামান্য বৃষ্টিতেই ভবনগুলোর সামনে অনেক পানি জমে যায়। যার ফলে আমাদের চলাফেরা করতে সমস্যা হয়।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ছোট্ট এই ক্যাম্পাসকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে খুব সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। কিন্তু প্রেক্ষাপট পুরোই ভিন্ন। আমাদের ক্যাম্পাসে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনগুলো অকার্যকরী। এখন শীতকাল মশার উপদ্রব খুব বেশি, তাই এ সময় ক্যাম্পাসের ড্রেনেজ ব্যবস্থা যদি ঠিক না থাকে এবং যদি ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকে তাহলে মশার আক্রমণ বেড়ে যাবে। তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ক্যাম্পাসে রুচিশীল ও মনোরম পরিবেশ তৈরিতে যেন প্রশাসন দ্রুত ভূমিকা নেয়।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেয়ারটেকার সাইদ আহমদ বলেন, ‘অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে আসলে পানি জমে যায়। ড্রেনগুলো সমান্তরাল নয়, কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু থাকার কারণে পয়ঃনিষ্কাশনে সমস্যা দেখা দেয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সুপারিশ করেছি, যেন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় যেন ডাস্টবিন ড্রাম সেট করা হয়।’ ড্রেনেজের এমন অব্যবস্থাপনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নিযুক্ত হয়েছি তাই এই বিষয়ে পুরোপুরি অবগত নই। তবে আমার কাছে ড্রেন অব্যবস্থাপনার বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। ক্যাম্পাস চালু হওয়ার আগে আমি ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার করার চেষ্টা করব।’



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]