প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:১৪ এএম আপডেট: ০৪.১২.২০২০ ১:৩৮ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
দেশে গত একদিনে করোনায় আরও শনাক্ত ২ হাজার ৩১৬ জন রোগী আর সংক্রমিত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৩৯ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ হাজার ৭৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৩৭৯ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ হাজার ৮০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্রমেই মহামারি আকারে সংক্রমণ বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানায় সরকার। শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই মাসের শেষের দিক থেকে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে চলে যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ২৬ নভেম্বর তা সাড়ে ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩২তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৬ কোটি ৪৫ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৪ লাখ ৯৩ হাজার। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৮টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৮০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২৮ লাখ ২০ হাজার ৯৮১টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮২ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ আর নারী ১২ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।তাদের মধ্যে ২৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৫ জন করে মোট ১০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ ও ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ২২ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন ময়মনসিংহ বিভাগের, ৩ জন করে মোট ৬ জন চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ২ জন রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৬ হাজার ৭৪৮ জনের মধ্যে ৫ হাজার ১৬৪ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৫৮৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩ হাজার ৫৯৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৭৫২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৮১২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৪৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৫১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৫৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৩ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৪০ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২৬৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪০৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৯৯ জন খুলনা বিভাগের, ২২০ জন বরিশাল বিভাগের, ২৬৬ জন সিলেট বিভাগের, ৩০৬ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৩৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।