সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বাংলাদেশের যুদ্ধপরবর্তী এমআর সেবায় এখনও অবাক মার্কিন গবেষকরা
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:১৪ এএম আপডেট: ০৪.১২.২০২০ ১:৩৮ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীদের অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ ঠেকাতে যুদ্ধের পরে বাংলাদেশে যে এমআর বা মাসিক নিয়মিতকরণ সেবার প্রচলন করা হয়, তার কথা ভেবে এখনও বিস্ময়ের ঘোর কাটে না মার্কিন চিকিৎসকদের। যুদ্ধকবলিত একটি দেশে কীভাবে এমন আইনের ভাবনা আসলো, তা ভেবেই মূলত অবাক নিউইয়র্কের বিখ্যাত নারী গবেষক ওয়েন্ডি শেল্ডন এবং তার সহকর্মীরা। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসে নারীদের অনিয়ন্ত্রিত গর্ভধারণ এবং তার প্রতিকার সংক্রান্ত একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকাটির জনপ্রিয় ‘ফিক্সেস’ কলামে লেখা সেই মতামতে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক প্যাট্রিক অ্যাডামস গাইনিইউটি হেলথ প্রজেক্টসের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট শেলন্ডনকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সেই আইনের কথা উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে এমআর-কে বৈধতা দেয় সরকার। আগে এমআর করার সর্বোচ্চ সময়সীমা ছিল আট সপ্তাহ, কিন্তু এখন ১২ সপ্তাহ। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালেই এমআর-এর আলাদা বিভাগ আছে। প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোও বৈধভাবেই এমআর করছে। সামাজিক এবং ধর্মীয় কারণে গর্ভপাতকে দেশে বৈধতা দেওয়া হয় না, কিন্তু অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ এড়াতে এর প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। বাংলাদেশের এই আইনের ধারণা থেকে শেল্ডন তার সহকর্মীদের নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে একটি গবেষণার আইডিয়া বের করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি রাজ্যের নারীদের সঙ্গে তারা কথা বলে বোঝার চেষ্টা করেন, কেন গর্ভধারণের টেস্টের আগেই তারা মাসিক নিয়মিতকরণের ট্যাবলেট সেবন করতে চান।
বাংলাদেশের এমআর-এর কথা উল্লেখ করে শেল্ডন টাইমসকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো জায়গায় ওই সময় কীভাবে এমআর-এর ধারণা আসল, আমি সেটাই ভেবেছি। ওই ধারণা আমাকে ভাবিয়েছে যেসব দেশে গর্ভপাত বৈধ, এমনকি সেসব জায়গায়ও নারীরা এটি বেছে নিতে পারেন। তাতে তাদের মানসিক চাপ এবং সামাজিক লজ্জায় পড়তে হবে না।’ বাংলাদেশের আইনে শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে মায়ের জীবন বাঁচাতে গর্ভপাতের সুযোগ আছে। কিন্তু এমআর-এর নামে ছোট ছোট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ‘গর্ভপাতের’ অনেক ব্যবসা গড়ে উঠেছে, তা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, সেখানে প্রশিক্ষিত ডাক্তার নেই। আয়া বা নার্স দিয়েই গর্ভপাতের কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে বেশ কিছু এনজিও তাদের হাসপাতালের মাধ্যমে এই এমআর সেবা দিচ্ছে। আর এখন সার্জারি ছাড়া ওষুধের মাধ্যমেও গর্ভপাত করানো হয়। বাংলাদেশে এখন সেই ওষুধ পাওয়া যায়।
গার্টমেকার ইনস্টিটিউটের একটি হিসাব থেকে জানা গেছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশে ৬ লাখ ৫৩ হাজার ১০০ এমআর করা হয়। অর্থাৎ প্রতি হাজারে এমআর করা হয় ১৮.৩ টি। একই বছর সরাসরি গর্ভপাতের ঘটনা ছিল ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৬০০টি। সে বছর প্রতি ১০০০ গর্ভবতীর মধ্যে ১৮ দশমিক ২ জন গর্ভপাত করিয়েছেন, তাদের বয়স ১৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]