রোজগারের আশায় ভাসানচরে রোহিঙ্গারা
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:১৪ এএম আপডেট: ০৪.১২.২০২০ ১:৩১ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রোহিঙ্গাদের আবাসন সংকটে এল স্বস্তি। যদিও বিষয়টি কতটা স্বস্তিদায়ক তা নিয়ে এখনও দ্বিধায় এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংগঠনরা। রোহিঙ্গাদের অনেকেই মেনে নিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত। অনেকেই বলছেন মেনে নেওয়া অনেকটা জীবনের প্রয়োজনে, জীবিকার জন্যেই। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিতে বিএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে পৌঁছে ১০টি গাড়ি। প্রথম পর্যায়ে আড়াই হাজার রোহিঙ্গা পরিবার যায় ভাসানচরে। জীবনের তাগিয়ে এমনি এক অগস্ত্য যাত্রা করে আয়শা বেগমের পরিবার। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুচিদং এলাকার বাসিন্দা আয়শা বেগম। কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে বাস করতেন তিনি। তিন সন্তান, স্বামীসহ ৮ সদস্যের পরিবার তার। দুই বছর ধরে বালুখালী ক্যাম্পে ছিলেন তারা। জীবন বাসের যাত্রী হলেন তার পরিবারও। ভাসানচরে জীবনের ভাসান যাত্রা কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে আয়শা বলেন, অনেকে বলছে ভাসানচরে গেলে আয় রোজগার করা যাবে। জীবন বাঁচান হলো বড় কথা। বালুখালী ক্যাম্প থেকেও বেশি সুবিধা নাকি পাওয়া যায় শুনেছি। তাই, ভাসানচরে যাই। আক্ষেপ নিয়ে আরো বলেন, ক্যাম্পে এনজিওসহ বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় চলতে হয়। এভাবে আর কতদিন চলা যায়। তাই ভাসানচরে চলে যাচ্ছি। রোহিঙ্গা নেতাদের ধারণা গতকাল দুপুরে মোট ২১টি বাসে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয় রোহিঙ্গারা। উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোতে অন্তত ৬০০ রোহিঙ্গা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও প্রকৃত পরিসংখ্যান কোন পক্ষ থেকেই জানানো হয়নি।