প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:০১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালীর দশমিনায় ক্রয়কৃত জমির দখল পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন উপজেলার চরহোসনাবাদ এলাকার মৃত শেয়ার আলী পঞ্চায়েতের ছেলে আবুল হোসেন।
২০১৮ সালে আবুল হোসেন দশমিনা উপজেলা সদরের চরহোসনাবাদ এলাকায় মৃত খোরশেদ আলী মৃধার ছেলে বেল্লাল হোসেন এর কাছ থেকে কবলা মূলে ৭.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে বসবাস করে আসছিলেন। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারী আবুল হোসেন পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে গেলে স্থানীয় মোসলেম মৃধা গংরা ওই জমি তাদের দাবী করে বসত ঘরে তালা ভেঙে জবর দখল করে নেন।
এঘটনায় আবুল হোসেন তার জমি উদ্ধারের আবেদন জানিয়ে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করলে পুলিশ সুপার ঘটনাটি তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করেন। ডিবির ওসি খন্দকার জাকির হোসেন ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল আবুল হোসেনের পক্ষে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন। ওই তদন্ত প্রতিবেদন দখলদাররা না মানলে দশমিনা থানায় অভিযোগ করেন আবুল হোসেন ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দশমিনা থানার এস আই আব্দুর রউফ ২০১৯ সালের ১৮ আগষ্ট জমির মালিকানা আবুল হোসেনের বলে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করেন।
এরপরে থানার মানিত শালিশ হিসেবে এ্যাডভোকেট মিলন মিয়া,এ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন এবং এ্যাডভোকেট ওবায়দুল ইসলাম শালিশ বৈঠক করে জমির মালিকানা আবুল হোসেনের বলে রোয়েদাদ প্রদান করেন। দখলদাররা শালিশ বৈঠক বিচার ব্যবস্থা কোন কিছু না মানায় আবারো পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করলে দশমিনা থানার ওসি মো: জসীম বিষয়টি তদন্ত করে চলতি বছরের ১০ অক্টোবর জমির মালিকানা আবুল হোসেনের মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতগুলো শালিশ বৈঠক ও পুলিশ প্রতিবেদন আবুল হোসেনের পক্ষে থাকলেও জমির দখল বুঝে পাচ্ছে না আবুল হোসেন।
এব্যাপারে দশমিনা থানার ওসি মো: জসীম জানান, ইচ্ছে করলেই কাউকে ঘর থেকে নামানো যায়না তারা আদালতে উচ্ছেদ মামলা করে আদেশ নিয়ে আসলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেবো।
এব্যাপারে দখলদার মোসলেম মৃধা একটি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়াভুক্ত আসামী হওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে মোসলেম মৃধার স্ত্রী ডলি বেগমের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি রং নাম্বার বলে কেটে দেন॥