প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:১৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ নামাজ। ঈমানের পরই একজন মুমিনের ওপর যে কাজটি ফরজ, সেটি হচ্ছে নামাজ। যা প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত আদায় করা ফরজ। তবে অনেকে প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলেও মসজিদে গিয়ে প্রতি ওয়াক্তে নামাজ পড়া হয় না। যদিও নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য। এছাড়া মসজিদে জামায়াতে নামাজের গুরুত্ব ও সওয়াব অনেক বেশি, এট জানা সত্বেও অনেকে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে অপারগ। তবে অসুস্থ হলে সেটা ভিন্ন।
অসুস্থ অবস্থায় রাসুল (সা.) পায়ে হেঁচড়িয়ে ও দুউজন সাহাবীর কাঁধে ভর দিয়ে জামাতে নামাজ পড়তে মসজিদে হাজির হয়েছেন। জামাতে নামাজ আদায়ের সওয়াব সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী একাকী নামাজ পড়া অপেক্ষা ২৭ গুণ বেশি মর্যাদার অধিকারী হয়।’ (বুখারি হাদিস নং : ৬৪৫, মুসলিম হাদিস নং : ৬৫০)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার প্রাণ যার হাতে, তার শপথ করে বলছি, আমার ইচ্ছা হয় আমি কাঠ সংগ্রহ করার নির্দেশ দিই আর নামাজের আজান দেয়ার জন্য হুমকি দিই। তারপর আমি এক ব্যক্তিকে হুকুম করি, যেন সে লোকদের নামাজের ইমামতি করে। আর আমি ওই সব লোকদের দিকে যাই, যারা নামাজের জামাতে হাজির হয়নি এবং তাদের বাড়ি ঘরগুলো দিয়ে জ্বালিয়ে দেই।’ (বুখারি হাদিস: ৬১৮)
জামাতে নামাজ আদায় প্রসঙ্গে অনেক ফিকাহবিদ বলেছেন, জামাতে নামাজ আদায় না করলে নামাজের হক আদায় হয় না।
এক হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন তাকবিরে উলার সঙ্গে (নামাজ শুরুর তাকবিরের সাথে) ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল, তার জন্য দুটি নাজাত লিপিবদ্ধ করা হল, জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও মুনাফিক থেকে তাকে পরিত্রাণ দেয়া হয়। (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এমার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ইবাদত করল। আর যে ফজরের নামাজ জামাতসহ আদায় করল, সে যেন সারারাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল।’ (মুসলিম)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যদি লোকে এশা ও ফজরের নামাজের ফজিলত জানত, তাহলে হামাগুঁড়ি দিয়ে আসতে হলেও তারা অবশ্যই ওই নামাজ দুইটিতে হাজির হতো।’ (বুখারি ও মুসলিম)