ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত :তথ্যমন্ত্রী
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:৪০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাদের কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার ( ০৩ ডিসেম্বর ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যেই বিএনপি অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করতে চায়। আর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে যারা বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে।
তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন আমরা অনুমতি না পাওয়ার কারণে বহু সমাবেশ করতে পারিনি। সেজন্য আমাদের রাস্তায় প্রতিবাদ করতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আসলে তারা বিনা অনুমতিতে গত কিছুদিন ধরে হঠাৎ করে সমাবেশ আয়োজন করছিল। আর আমরা দেখেছি, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে হঠাৎ চোরাগোপ্তা মিছিল বের করে গাড়ি ভাঙচুর করা। অনুমতি নিয়ে তো সেটা করতে একটু অসুবিধা হয়।
ড. হাছান বলেন, ২১ আগস্ট সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যখন মুক্তাঙ্গণের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, তখন তা দেয়া হয়নি। কারণ মুক্তাঙ্গণের আশেপাশে বিল্ডিং নেই, বিল্ডিংয়ের ওপর থেকে বোমা মারার বা গ্রেনেড ছোঁড়ার সুযোগ ছিল না। তাই মুক্তাঙ্গণে অনুমতি দেয়নি।
দেশে ভাস্কর্য নিয়ে অহেতুক একটি বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, উপমহাদেশে ইংরেজরা আসার পর কেউ কেউ ইংরেজি শিক্ষা হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছিল। টেলিভিশন চালু হলে তা দেখা হারাম এবং হজে যাওয়ার জন্য ছবি তোলাও হারাম বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় ফতোয়া দেয়া হলো যে, যারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তারা সবাই কাফের। সেই ধারাবাহিকতাতেই তাদেরই প্রেতাত্মারাই কিন্তু এখন ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশেও অনেক আগে থেকে বহু নেতা, কবি ও সাহিত্যিকের ভাস্কর্য আছে। তখন কেউ কিছু বলে নাই। হঠাৎ করে এই প্রশ্ন আনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত।
ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম, এর অপব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান বলেন, যারা এতদিন ধরে স্বাধীনতা বিরোধীদের লালন করেছে, পোষণ করেছে, স্বাধীনতা বিরোধীদের দিয়ে রাজনীতি করে, তারাই এর পেছনে ইন্ধন দিচ্ছে। সুতরাং আমাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সভাপতিত্ব করেন।