প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:২৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০০ সদস্য পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে বাইসাইকেল যাত্রা শুরু করে মেরিনড্রাইভ অতিক্রম করে সাবরাং জিরো পয়েন্ট পৌঁছে মুজিব বর্ষ সাইক্লিং এক্সপেডিশন শেষ হয়েছে।
সুত্র জানায়, মঙ্গলবার(১লা ডিসেম্বর) সকালবেলা কক্সবাজার সেনানিবাস থেকে শেষ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে টেকনাফের সাবরাং মেরিনড্রাইভ জিরো এসে সাইক্লিং দুপুরের সময় পৌঁছে এক্সপেডিশন শেষ হয়েছে।এসময় তাদের সহায়তায় সেনাবাহিনীর বিশেষ একটি টীম সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, তাদের পানি সরবরাহ, অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের ব্যবস্থাও ছিল।
পথে সংশ্লিষ্ট সেনানিবাসের টীম সহযোগিতা করেছে।
চট্টগ্রামে বিশেষ সহযোগিতায় ছিলেন কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসের সহায়তা টীম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ‘মুজিব বর্ষ সাইক্লিং এক্সপেডিশন-২০২০’ এর ফ্ল্যাগ অফ ১০০ জন সেনা সদস্য তেতুঁলিয়া বাংলা বান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে গত ৮ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে এক হাজার ১০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে ২৩ দিন পর দুপুর আড়াই টার দিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের খুরের মুখ জিরো পয়েন্টে পৌঁছে। এবং ১০০ জন সেনা সদস্যদের মধ্যে ৭১ জন সাইক্লিংনে অংশ গ্রহন করে। তাদের মধ্যে ১১ জন নারী সদস্য ছিল। এর মধ্যে ৩ জন নারী সরাসরি অংশ গ্রহন করেছে। এই ১০০ জন সাইক্লিং টিমের নেতৃত্ব দেন মেজর আসিফ মাহমুদ। সাইক্লিংনে অংশ গ্রহনকারী সদস্যদের জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বরণ করে নেন সেনাবাহিনী।
উক্ত মুজিব বর্ষ সাইক্লিং এক্সপেডিশন-২০২০’ এর ফ্ল্যাগ অফ সমাপনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজারের রামু ১০ ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার উমর সাইদি। লে: কর্ণেল সফিউল আলম, মেজর সাইফুল।
উক্ত অনুষ্ঠানে ব্রিফিং করেন লেঃ কর্ণেল সফিউল আলম বলেন, মুজিব বর্ষকে ইতিহাসের পাতায় অমলীন করে রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০০ জন সেনাসদস্য অদম্য শক্তি ও সাহসিকতার সাথে তেতুলিয়ার বাংলাবান্ধা থেকে এক হাজার ১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি জমানোর পর টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ পর্যন্ত পৌঁছে।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীকে স্বরণীয় করে রাখতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ শে মার্চ পর্যন্ত সময়কালকে ‘মুজিব বর্ষ” হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাইকেলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবার দুঃসাহসিক প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ পথে জাতির পিতার জন্মশত বর্ষের চেতনাকে ধারণ করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল ফরমেশনের ১০০ জন সাইক্লিষ্ট এর অংশগ্রহণে এই বছরকে আরো তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে একাত্তরের চেতনাকে মহিমান্বিত করে তোলার জন্য সবসময় ৭১ জন সাইক্লিষ্ট এই অপরাজেয় সাইক্লিং এক্সপেডিশন অংশ গ্রহন করেছে।
সমাপনি অনুষ্ঠানে সাইক্লিং টিমের লিডার মেজর আসিফ মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনের মাধ্যমে জাতির পিতার প্রজ্জ্বলিত শিখার আলোয় সমগ্র বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করাই এই সাইক্লিং এক্সপেডিশনের মূল উদ্দেশ্য। মুজিব বর্ষের চেতনাকে বুকে ধারণ করে সকল সাইক্লিং যাত্রা পথে কোন ঝুঁকি ছাড়া নিরাপদে এক হাজার ১০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছে। এবং নারী সদস্যরাও সাহসিকতার প্রমান দিয়েছে। এবং মুজিব বর্ষ সাইক্লিং এক্সপেডিশন সমাপ্ত ঘোষনা করেন রামু ১০ ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার উমর সাইদি। এছাড়াও, মুজিব বর্ষ সাইক্লিং এক্সপেডিশন এর সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ০৫ ডিসেম্বর জলতরঙ্গ, কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে জানান।