প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:১৮ পিএম আপডেট: ০১.১২.২০২০ ২:২৮ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
জনপ্রিয় অভিনেত্রী শারমিন জোহা শশী। নাটক নিয়েই তার ব্যস্ততা। শিগগিরই ওয়েবে নাম লেখাবেন। নাটক-ওয়েব ও সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে...
এখন বিনোদনের নতুন প্ল্যাটফরম ওয়েব। এই ওয়েবে কাজের পরিকল্পনা কী?ওয়েব নিয়ে আমি খুই আশাবাদী। আমাদের আক্ষেপ কিছুটা হলেও কমবে ওয়েবের কল্যাণে। কারণ, এখানে ইউটিউব ভিউয়ের বিষয় নেই। নির্দিষ্ট অ্যাপে টাকা দিয়ে লোকজন কনটেন্ট দেখবে। যার অভিনয় ভালো তাকেই দেখবে দর্শক। ইতিমধ্যে দুটি ওয়েব সিরিজ নিয়ে কথা হয়েছে। এখনই কিছু বলতে নিষেধ আছে তা নিয়ে। অনেকে ওয়েব মানেই ছোট পোশাক বা অশ¬ীলতার কথা ভাবছেন। বিষয়টা তা নয়। আমাদের আসলে সব গল্পই দেখা হয়ে গেছে। সেই পুরনো গল্পকে ওয়েবে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপনের সুযোগ পাচ্ছেন নির্মাতারা। তাই গল্পগুলোকে আমাদের সাপোর্ট করা উচিত।
ওয়েব সিরিজ নিয়ে বেশ বির্তক দেখা যায়। এ নিয়ে কী বলবেন?যৌনতা মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। তাহলে সেটা কেন কনটেন্টে আসতে পারবে না? কিন্তু একজন আর্টিস্টের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে তিনি কোন গল্পে কাজ করবেন আর কোনটিতে করবেন না। তিনি নিজেকে কতটুকু পোশাকে দেখাবেন সেই চয়েজও তার। এখানে কেউ জোর খাটায় না। আমি খুবই গর্বিত যে আমাদের দেশেও আন্তর্জাতিক মানের ওয়েব কনটেন্ট হচ্ছে। সেগুলোর অংশ হতে পারলে আরও খুশি হব।
আপনি ছোটপর্দায় ধারাবাহিক নাটকে নিয়মিত। কয়টি ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন?দুটি ধারাবাহিক নাটক করছি। আরটিভিতে প্রচার হচ্ছে মুসাফির রনির ‘তোলপাড়’। এটি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কয়েকজনের হোস্টেল লাইফের গল্প। বাংলাভিশনের জন্য নির্মিত তুন আরেকটি ধারাবাহিক শুরু করেছি। ফরিদুল হাসানের ‘ফরেন ভিলেজ’ নামের ধারাবাহিকটি করছি শুধুমাত্র চরিত্রটি মজার বলে। এতে আমি চায়না থেকে বাংলাদেশে আসা একটি মেয়ে। সে চায়না মেয়েদের মতো সাজ-পোশাক পরে।
অভিনয় কিংবা ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো আক্ষোপ আছে?আমাদের শোবিজের কিছু বিষয় নিয়ে আমার আক্ষেপ রয়েছে। এখন ভিউ গুনে শিল্পী নির্বাচন করা হয় বেশিরভাগ কাজে। কিন্তু যার ইউটিউব ভিউ বেশি সে ভালো অভিনয় করবে সেটার কোনো যৌক্তিকতা কি আছে? তা ছাড়া ভিউ তো কিছু টাকা খরচ করলেই বাড়ানো যায়। তাতে কি অভিনয়ের মান উন্নত করা যায়? এর ফলে একটি ভালো প্রজেক্ট নষ্ট হয়ে যায়। অথচ আমরা যারা দীর্ঘদিন কাজ করতে করতে অভিনয় কিছুটা হলেও শিখেছি তাদের কাছে ওই কাজগুলো আসে না।প্রতিদিন প্রচুর কাজের প্রস্তাব পাই, কিন্তু সেগুলো আমার মানের সঙ্গে যায় না। গতকালও একটি ডেইলি সোপের কাজ ফিরিয়ে দিয়েছি। কাজটি করলে হয়তো এক বছরের জন্য আমার লাইফস্টাইল নিয়ে আর চিন্তা করতে হতো না। কিন্তু ওই মানের কাজ শিল্পী হিসেবে কিছুতেই আমি গ্রহণ করতে পারি না।