প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১:১৮ পিএম আপডেট: ০১.১২.২০২০ ১:৪৯ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় ক্ষণ। এই মাসেই বাঙালি অর্জন করে একটি স্বাধীন দেশ আর নিজস্ব পতাকা। এ বছর স্বাধীন বাংলাদেশের ৪৯তম জন্মবার্ষিকী। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রাম, মা-বোনের সম্ভ্রম আর অগণিত শহীদের রক্তের বিনিময়ে এসেছিল এই বিজয়। আজকের দিনটি আবার মুক্তিযোদ্ধা দিবস।
আমাদের এই দীর্ঘ পথচলা শুরু হয় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ। সেই সময়কার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু সেদিন স্বাধীনতা প্রিয় বাঙালিকে উদ্বুদ্ধ করেন তার সেই ঐতিহাসিক ভাষণে। এদিন জাতি স্বাধীনতার মন্ত্রে নতুন করে শপথ নেয়। ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম/এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।’ ২৫ মার্চের নির্মম নৃশংস হত্যাকা-ের পর বাঙালি আর পিছু তাকায়নি। যার যা কিছু ছিল তাই নিয়েই ঝাপিয়ে পড়ে মুক্তির সংগ্রামে। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আসে স্বাধীনতার মহেন্দ্রক্ষণ। এই ডিসেম্বরেই বিশ্বে স্বাধীন জাতি হিসাবে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরতে সক্ষম হই। সেই মাসের আজ প্রথম দিন। যদিও বিজয়ের এই লগ্নে আমাদের মহান নেতা সেদিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাই বিজয়ের পরিপূর্ণ আনন্দ উল্লাস সেদিন অসমাপ্ত রয়ে যায়। আজ আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির সেই সব বীরদের, যাদের আত্মত্যাগে আমাদের বিজয় এসেছে। ঘটেছে স্বাধীন জাতির অভ্যূদয়। আজকের এই মহান দিনে জাতির মননে স্থায়ী আসন পেতে আছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। তাই বলতে হয়, স্বাধীনতার এই দিনে বঙ্গবন্ধু তোমায় মনে পড়ে। অন্নদাশঙ্কর রায়ের সেই কবিতা দিয়ে বলতে হয় ‘দিকে দিকে আজ অশ্রু গঙ্গা রক্ত গঙ্গা বহমান/তবু নাই, নাই ভয়, হবে হবে জয়/জয় শেখ মুজিবুর রহমান’। মহান বিজয়ের মাসে আমরা সেই সব শহীদ ও বীরাঙ্গণাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আর আমাদের গর্বিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জানাই সালাম।