ভোরের পাতা ডেস্ক
শ্রীলঙ্কায় একটি কারাগারে দাঙ্গায় অন্তত ৮ বন্দি নিহত ও আহত হয়েছেন ৩৭ জনের বেশি। করোনা আতঙ্কে কর্তৃপক্ষের ওপর বল প্রয়োগ করে কিছু বন্দি দরজা খুলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এই দাঙ্গা শুরু হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে। যদিও পুলিশ করোনা আতঙ্কের কথা অস্বীকার করেছে। দেশটির পুলিশ মুখপাত্র অজিথ রোহানা বলেছেন, রাজধানী কলম্বো থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত মাহারা কারাগারে বন্দিরা অশান্তি তৈরি করেছিল। কারা কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার কারাগারগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। দেশটির উপচেপড়া কারাগারগুলোর প্রায় এক হাজার বন্দি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যেই মহামারি নিয়ে আতঙ্কিত বন্দিরা ব্যবস্থা উন্নতকরণ ও আগাম জামিনে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করছে। এসময় কারারক্ষী ও বন্দিদের মধ্যে সংর্ঘষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। অজিথ রোহানা জানিয়েছেন, ঘটনার পর মাহারা কারাগারকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য অভিজাত পুলিশ কমান্ডোদের একটি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি পুলিশের পাঁচটি দলও মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার কারাগারগুলোতে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যেই সম্প্রতি বেশ কয়েকটি কারাগারে দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী কলম্বোর ওয়েলিকাদা কারাগারের একদল বন্দি কারাগার ভবনের শীর্ষে উঠে জামিনের দাবিতে প্রতিবাদ শুরু করেছিল। আগুনাকোলাপালাসা কারাগারের আরেকদল বন্দি টানা আটদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছে, তাদের কারাগারের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন তারা। এসময় তারা কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ তোলে।  এদিকে পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠি। গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার কারাগারগুলোর ধারণ ক্ষমতা ১০ হাজার হলেও সেখানে প্রায় ২৬ হাজার বন্দিকে রাখা হয়েছে। ঠাসাঠাসি করে বন্দি রাখার ফলে এই কারাগারে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে।