প্রেমিক ও বন্ধুরা মিলে কিশোরীকে ৮ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ৮:০৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সিলেটের শহরতলিতে এক কিশোরীকে আটকে রেখে কথিত প্রেমিক ও তার বন্ধুরা মিলে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও পানির সঙ্গে মিশিয়ে গর্ভ নষ্ট করার ওষুধও খাওয়ানো হয় ওই কিশোরীকে। এ ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার ও কিশোরীকে উদ্ধার করেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গেল ২০ নভেম্বর রাতে গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব-পেকেরখাল গ্রামের এক কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যান জাকির আহমেদ মুহসিন নামে এক যুবক। ওইদিন রাত ১০টার দিকে কিশোরীর বাবা-মা তাদের মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে পরবর্তীতে জানতে পারেন জাকির তাদের মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। পরে ওই কিশোরীর বাবা জাকিরকে অভিযুক্ত করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়াইনঘাট সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিক ইসলাম খান ওই কিশোরীকে উদ্ধার এবং জাকিরকে গ্রেফতারের জন্য গোয়াইনঘাট ও সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। অবশেষে গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে শাহপরাণ থানাধীন সিলেট শহরতলির কল্লোগ্রাম এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও শাহপরাণ থানাধীন পীরের চক গ্রামের ফারুক আহমদের ছেলে মো. জাকির হোসেন ও চেরাগ আলীর ছেলে আলী হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, নির্যাতিতা কিশোরী জানান, জাকিরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০ নভেম্বর রাতে তার বাড়িতে হঠাৎ জাকির উপস্থিত হয়ে বলে তার সঙ্গে পালিয়ে যেতে। পালিয়ে না গেলে জাকির আত্মহত্যার হুমকিও দেন। পরে ওই কিশোরী ভয় পেয়ে কাউকে না বলে জাকিরের হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
কিশোরীকে নিয়ে ওইদিন রাতে চেঙ্গেরখাল নদীর পারে জাকির আরো চার থেকে পাঁচজন যুবকের সঙ্গে মিলিত হন। জাকির এ সময় এই যুবকদের বন্ধু বলে পরিচয় দেন কিশোরীর কাছে। কিন্তু ওই রাতেই কিশোরীর চোখ বেঁধে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে তারা সবাই পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। গত আটদিনে তারা সবাই একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এছাড়াও কিশোরীর কথিত প্রেমিক ও তার বন্ধুরা পানির সঙ্গে মিশিয়ে গর্ভ নষ্ট করার ওষুধ সেবন করান ওই কিশোরীকে।
সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গোয়াইনঘাটের পূর্ব-পেকেরখাল গ্রামের ওই কিশোরীর বাবা গোয়াইনঘাট থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। গোয়াইনঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদ বিষয়টি তদন্তের জন্য জন্য আমাকে দায়িত্ব দেন। এরই আলোকে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদ এ বিষয়ে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।