প্রকাশ: সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৪৯ পিএম আপডেট: ৩০.১১.২০২০ ১:২১ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার সময় শেষ হচ্ছে আজ সোমবার। ইতিমধ্যে আজ জাতীয় বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, রিটার্ন জমার সময় বাড়ছে না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যারা এই নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন দিতে পারবেন না, তারা যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সময় বাড়াতে পারবেন। এবার দেখা যাক, কীভাবে সময় বাড়ানো যায়।
এনবিআরের একটি নির্দিষ্ট ফরমে সময় বাড়ানোর আবেদন করতে হবে। এনবিআরের ওয়েব সাইটের ফর্মস অপশনে গিয়ে একদম নিচের দিকে এই ফরমটি পাওয়া যাবে। সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। দুই পৃষ্ঠার এই ফরমটিতে উভয় পৃষ্ঠায় প্রায় একই রকম তথ্য দিতে হয়। একটি করদাতার কপি, অপরটি অফিস কপি। সময় বাড়ানোর যৌক্তিক কারণের পাশাপাশি নাম, ঠিকানা, কর অঞ্চল, সার্কেল ইত্যাদি সাধারণ তথ্য দিতে হয়। করদাতার সংশ্লিষ্ট কর সার্কেলেও ছাপা আবেদনপত্র বা ফরম আছে। সেখান থেকেও ফরমটি সংগ্রহ করা যাবে।
আবেদনপত্র পূরণ করে সংশ্লিষ্ট কর সার্কেলে জমা দিতে হবে। ওই কর সার্কেলের সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনার আবেদনপত্রটি যাচাই-বাছাই করবেন। সাধারণত এক দিনেই এই কাজটি হয়ে যায়। উপ কর কমিশনার প্রথমে দুই মাস পর্যন্ত সময় দিতে পারেন। এই সময়ের মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে না পারলে আবার আবেদন করে আরও দুই মাস সময় নেওয়ার সুযোগ আছে। আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সময় বাড়ানোর আবেদন করা করদাতাকে প্রতি মাসের জন্য আয়করের টাকার ওপর মাসিক ২ শতাংশ হারে বিলম্ব সুদ দিতে হবে। যেমন এক লাখ টাকা করে হলে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে রিটার্ন দিলে ২ হাজার টাকা বিলম্ব সুদ দিতে হবে। ৩০ নভেম্বরের পর কোনো করদাতা সময় বাড়ানোর আবেদন না করলে জরিমানার পাশাপাশি করের ওপর ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত সরল সুদ আরোপ করতে পারবেন কর কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বিলম্ব সুদ আরোপের ক্ষমতাও দেওয়া আছে।