শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ   ফিল্ম সিটি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধুর’ নাম   সিলেটের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার   অনন্য অসাধারণ শেখ হাসিনা আমাদের গর্ব   নরসিংদীতে ‘থার্টি ফার্স্ট’ উপলক্ষে চাঁদা না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কোপালো সন্ত্রাসীরা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বাংলাদেশ হবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৪৯ পিএম আপডেট: ৩০.১১.২০২০ ১:২২ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ

শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যো সেতুবন্ধন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে ঢাকা থেকে ট্রেন পদ্মা সেতু পেরিয়ে পায়রা পর্যন্ত যাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী ও মজবুত করতে নৌ, রেল ও আকাশপথের সার্বিক উন্নয়নে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের ভেতরে যোগাযোগ ব্যবস্থারই উন্নয়ন ঘটবে না, বাংলাদেশ যুক্ত হবে এশীয় মহাসড়ক ও রেলযোগাযোগ নেটওয়ার্কে। ট্রান্স রেলওয়ে এশিয়ার সাথে সংযুক্ত হতে পারলে আমাদের জন্য বিরাট পাওয়া। এ জন্য জাপান সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ।’ জাপান সরকারের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ যখন জাতির পিতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন, তখন জাপান সবসময় আমাদের পাশে ছিল। তাই জাপানের এমন সহযোগিতা সবসময় আমরা স্মরণ করি।’ রেলওয়ে সবচেয়ে সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা জানিয়েছে তিনি বলেন, ‘জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় থেকে আমার একটা প্রস্তাব ছিল এ সেতুতে রেল লাইন থাকতে হবে। কিন্তু সে সময় অর্থায়নকারী বিশ্ব ব্যাংক জানায়- এই যমুনা সেতুতে রেললাইন দিলে ভালো হবে না। কিন্তু পরবর্তীতে আমি দেশ ও বিদেশে গিয়ে বিশ্বব্যাংকের সাথে এ নিয়ে কথা বলেছি। কারণ এটা ছিল অনেক কঠিন একটা কাজ। কিন্তু অনেক বাধা পেয়েছিলাম।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরবর্তীতে খালেদার সরকার ডিজাইন পর্যন্ত এগিয়ে ছিল। পরে আমরা ক্ষমতায় এসে যমুনা সেতুর নির্মাণের সঙ্গে রেল সংযোগ থাকার জোরালো পদক্ষেপ নিই। সে অনুযায়ী সেতুর পাশে রেল সংযোগ করা হয়। কারণ, উত্তরবঙ্গে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বলেছিলেন বাংলাদেশ হবে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড। অর্থাৎ বাংলাদেশ হবে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে একটা সেতুবন্ধন। আর সেই সেতুবন্ধন করতে গেলে আমাদেরকে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সাথে সংযোগ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে এই দুটোর সাথে যদি আমরা সম্পৃক্ত হতে পারি তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে, কর্মসংস্থান বাড়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক বাড়বে। দেশের মানুষের জন্য আরও দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব হবে। কাজেই আমাদের জন্য একটা বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হবে।’ জাতির পিতাকে হত্যার পর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো রেলের উপরও আঘাত এসেছিল জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ওই সময় যারা  অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল তারা দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা না করে ক্ষমতাকে ভোগ করে নিজেদের সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলায় ব্যস্ত ছিল।
বিএনপি ক্ষমতায় এসে রেললাইন সংকোচন শুরুর পাশপাশি রেলে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘রেলকে প্রায় গলাটিপে হত্যা করতে গিয়েছিল বিএনপি সরকার। আমরা এসে এখন আবার তাকে জীবিত করেছি এবং রেলই এখন মানুষের সব থেকে ভরসা। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি রেল সেই সুযোগটা মানুষকে করে দিচ্ছে যে, আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি।’ রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘যমুনায় আজকে আমরা যে রেলসেতু করতে যাচ্ছি এটা এবং শুধু তাই না আপনারা জানেন যে আমাদের আগে যেখানে তিস্তা রেলসেতু, সেখানে কিন্তু গাড়ি যাবার সেতু ছিল না। আমি সরকারে আসার পরই ওখানে গাড়ি যাবার জন্য আলাদা সেতু করে দেই। নইলে রেল এসে দাঁড়াত, রেললাইনের উপর দিয়ে গাড়ি পার হতো। আমি বললাম এভাবে তো হতে পারে না। আমরা আলাদা সেতু করে দেই। ভৈরব নদীর উপর যে সেতু সেখানেও কিন্তু রেললাইনের উপর দিয়েই গাড়ি পার হতো। আমরা সেখানে আবার নতুন সেতু করে দিয়েছি। কালুরঘাটেও নতুন রেলসেতু আলাদা এবং সড়কসেতু করা হচ্ছে।’ গণভবন প্রান্তে এই সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত থেকে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আলাদা রেলসেতু নির্মাণ এই বছর শুরু করে ২০২৪ সালে শেষ করতে চায় সরকার। জাপানের সহায়তায় নয় হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই রেলসেতু নির্মাণ হচ্ছে। 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
https://www.dailyvorerpata.com/ad/BHousing_Investment_Press_6colX6in20200324140555 (1).jpg
https://www.dailyvorerpata.com/ad/last (2).gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/431205536-ezgif.com-optimize.gif
https://www.dailyvorerpata.com/ad/agrani.gif
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]