প্রকাশ: সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১১:৪৮ এএম | প্রিন্ট সংস্করণ
টি-টোয়েন্টিতে চারে নেমে সেঞ্চুরি এমনিতেই কঠিন। পাওয়ার প্লের পর নেমে সেঞ্চুরি তো আরও কঠিন। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সেটিই করে দেখালেন গ্লেন ফিলিপস। তার রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি ও ডেভন কনওয়ের সঙ্গে রেকর্ড জুটিতে বিধ্বস্ত হলো ক্যারিবিয়ান বোলিং। সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড।দলের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ে ফিলিপস খেলেন ৫১ বলে ১০৮ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাউন্ট মঙ্গানুইতে গতকাল সিরিজের কিউইদের জয় ৭২ রানের।বে ওভালে ২০ ওভারে ২৩৮ রানের পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড। ক্যারিবিয়ানরা থমকে যায় ১৬৬ রানে।
প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিই জিতে কিউইরা জিতে নিল সিরিজ। ফিলিপস সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ৪৬ বলে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে আগের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল কলিন মানরোর। ২০১৮ সালে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে এই মাঠেই, ৪৭ বলে।তৃতীয় উইকেটে কনওয়ের সঙ্গে ফিলিপসের জুটি ১৮৪ রানের। তৃতীয় উইকেটে যা বিশ্বরেকর্ড, নিউজিল্যান্ডের হয়ে যে কোনো জুটিতেই রেকর্ড।
রেকর্ড আছে আরও। পাওয়ার প্লের পর ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি রান ফিলিপসের এই ১০৮। আগের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ডেভিড মিলারের ১০১।বৃষ্টিতে দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিংয়ে নামে টস হেরে। মার্টিন গাপটিল ও টিম সাইফার্ট উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৪৯ রান।
সাইফার্ট বিদায় নেন ১৩ বলে ১৮ রান করে। সপ্তম ওভারে গাপটিল ২৩ বলে ৩৪ করে আউট হলে উইকেটে যান ফিলিপস।
শুরুতে উইকেট একটু মন্থর ছিল। ফিলিপস ও কনওয়ে খানিকটা সময় নেন। ১০ ওভার শেষে দুজনেরই রান ছিল ১৫। এরপর শুরু ব্যাটিং তান্ডব।
১৩.২ ওভারের পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। বৃষ্টির পর উইকেটে বল আসতে থাকে একটু দ্রুত। ফিলিপস ও কনওয়ে সেটি কাজে লাগিয়ে বল আছড়ে ফেলেন মাঠের নানা প্রান্তে। বৃষ্টির পর ৬.৪ ওভারে রান আসে ৯৮!ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে টানা তিনটি ছক্কা মারেন ফিলিপস, শেলডন কটরেলের ওভারে মারেন তিন চার, এক ছক্কা। কিমো পলকে এক ওভারে দুটি করে চার ও ছক্কা মারেন কনওয়ে। ১৯তম ওভারে সেঞ্চুরি স্পর্শ করে বাঁধনহারা উল্লাসে মাতেন ফিলিপস। ১০ চার ও ৮ ছক্কার ইনিংস খেলে ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান আউট হন শেষ ওভারে।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা কনওয়ে অপরাজিত থেকে যান ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৩৭ বলে ৬৫ করে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিউজিল্যান্ডে এসে থিতু হওয়া এই ক্রিকেটার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে করেছিলেন ২৯ বলে ৪১।শেষ ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ড তোলে ১৫৪ রান, টি-টোয়েন্টিতে তাদের যা সর্বোচ্চ। সব দেশ মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ।রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতেই হারায় ব্র্যান্ডন কিংকে। ব্যাটসম্যানদের কয়েকজন উইকেটে গিয়ে গোটা দুই চার-ছক্কা মেরেই বিদায় নেন। ৩০ রানও ছুঁতে পারেননি কেউ।২ ছক্কায় আন্দ্রে ফ্লেচার করেন ১৪ বলে ২০। অভিষিক্ত কাইল মেয়ার্সের পরিসংখ্যানও হুবুহু এক। শিমরন হেটমায়ার ২৫ রান করতে খেলেন ৩২ বল।মিচেল স্যান্টনারকে টানা চারটি ছক্বা মেরে ওই ওভারেই বিদায় নেন অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। শেষ দিকে ৩ ছক্কায় ১৮ বলে ২৬ করেন কিমো পল। কোনো পর্যায়েই মনে হয়নি, রান তাড়ায় জিততে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড : ২০ ওভারে ২৩৮/৩ (গাপটিল ৩৪, সাইফার্ট ১৮, কনওয়ে ৬৫*, ফিলিপস ১০৮, টেইলর ০; কটরেল ৪-০-৩৯-০, মেয়ার্স ১-০-১০-০, টমাস ৪-০-৪৪-১, পল ৪-০-৬৪-০, অ্যালেন ৩-০-৩৫-১, পোলার্ড ৩-০-৩৩-১, পাওয়েল ১-০-৯-০)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২০ ওভারে ১৬৬/৯ ( ফ্লেচার ২০, কিং ০, হেটমায়ার ২৫, মেয়ার্স ২০, পুরান ৭, পোলার্ড ২৮, পাওয়েল ৯, অ্যালেন ১৫, পল ২৬*, কটরেল ১, টমাস ০*; সাউদি ৪-০-৪৯-১, জেমিসন ৪-০-১৫-২, ফার্গুসন ৪-০-২২-১, স্যান্টনার ৪-০-৪১-২, সোধি ৪-০-২৬-১, নিশাম ১-০-১২-১)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ৭২ রানে জয়ী
সিরিজ : ৩ ম্যাচ সিরিজে নিউ জিল্যান্ড ২-০তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ : গ্লেন ফিলিপস