প্রকাশ: সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১১:১২ এএম আপডেট: ৩০.১১.২০২০ ১১:১৪ এএম | অনলাইন সংস্করণ
যশোরের ঝিকরগাছায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাড়িতে ফলন পাওয়ায় কৃষকের চোঁখে-মুখে আনন্দের হাঁসি ফুটেছে। তবে উপযুক্ত বাজারদর না পাওয়ায় শঙ্কায় রয়েছে কৃষক। বাজারে ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে কৃষকের হাঁসি মলিন হতে পারে। এবারের মৌসুমে উপজেলায় আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৮হাজার ২’শ হেক্টর জমি। উৎপাদিত হয়েছে ৫২হাজার ৮’শ ৮০ মেট্রিক টন ধান। যা গতবারের তুলনায় বেশি। এবার ব্রি-৮৭জাতের ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
কৃষকেরা অধিক ফলনের আশায় বিনা-৭, ব্রি-১৭, প্রতিক-৪৯ ও স্বর্ণ ধানের চেয়ে ব্রি-৮৭জাতের ধানের চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। কৃষকেরা কাঙ্খিত ফলনও পেয়েছেন এই ধানে। কৃষকেরা জানান, ব্রি-৮৭ জাতের ধানের বিঘাপ্রতি ফলন পেয়েছেন ২০/২২মণ। তবে অনুকূল পরিবেশ থাকায় এবছর অন্যান্য জাতের আবাদও হয়েছে ভালো। এবছর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় সবকয়টিতে আমনের আবাদ ভালো হয়েছে। তবে বিলাঞ্চলখ্যাত গঙ্গানন্দপুর, শিমুলিয়া, গদখালী, নাভারণ ইউনিয়নের বিল বনবান্দার ও বাঁকড়া এবং শংকরপুর ইউনিয়নে আমন ধানের উৎপাদন বেশি হয়েছে।
এদিকে বাজারে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। তবে, স্থানীয় হাট-বাজারে নতুন ধান প্রতিমণ (৪০কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৯’শ ৫০ টাকা থেকে ১১’শ টাকা পর্যন্ত। নতুনধান বাজারে উঠার মুখেও প্রতিকেজি মাঝারী ও মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪২-৪৫টাকা।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মাসুদ হাসান পলাশ জানান, ধানের আবাদ বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি পরামর্শ প্রদানসহ বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে। ফলনও হয়েছে আশানুরূপ।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সংগ্রহ ও মনিটারিং কমিটির সদস্য সচিব কাজী আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন, এবছর ধান ৬’শ ৭৫মেট্রিক টন ও চাল ৯’শ ৪৫মেট্রিক টন ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি জানান, কৃষি বিভাগের তালিকা অনুয়ায়ী কৃষকদের কাছ থেকে লটারীর মাধ্যমে সরাসরি ধান-চাল ক্রয় করা হবে। এবছর ১০জন মিলালের সাথে সরকার নির্ধারিত মূল্যে দান চাল ক্রয়ের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। কৃষি বিভাগের তালিকা অনুয়ায়ী কৃষকদের কাছ থেকে লটারীর মাধ্যমে সরাসরি ধান-চাল ক্রয় করা হবে। এবছর সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৬টাকা ও প্রতিকেজি চালের মূল্য ৩৭টাকা।
পৌর সদরের কাটাখাল গ্রামের নজরুল ইসলাম খোকন, মল্লিকপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম, পুরন্দরপুর গ্রামের মাসুদ হোসেন, বোধখানা গ্রামের আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, এবছর ধানের ভালো ফলনে দারুণ খুশি হয়েছেন।