প্রকাশ: সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১১:০৩ এএম আপডেট: ৩০.১১.২০২০ ১১:০৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডটিকে সর্বাধুনিক মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়তে চান সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরদার। খেলার মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার, রাতের নিরাপত্তা জোরদার, ব্রিজ নির্মাণ, চুরি-ডাকাতি বন্ধ করে ওয়ার্ডটিকে সর্বাধুনিক মডেল করার অঙ্গীকার করেছেন।
বর্ষায় দ্রুত বৃষ্টির পানি অপসারণের জন্য নর্দমাসহ পরিকল্পিত ও প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা, বাড়ি নির্মাণে পৌরসভার প্ল্যান বাস্তবায়ন ও শিশুপার্ক স্থাপনে প্রতিশ্রুতিও রয়েছে তার। এ ছাড়া মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরদার। শরীয়তপুর পৌরসভার ৪ নন্বর ওয়ার্ডটি জেলা শহরের একটি প্রশাসনিক ওয়ার্ড।
এ ওয়ার্ডটিতে রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয় হাসপাল, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা পরিষদ, এলজিইডি, গণপূর্ত অধিদপ্তর, জেলা কারাগার, শিক্ষা অফিস,টিএনটি, বিদ্যুৎ অফিস, নির্বাচন অফিস। এখানকার জনসংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৮৯ জন, এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২হাজার ৭ জন এবং নারী ২ হাজার ৮২জন। ওয়ার্ডটিতে এক’টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি উচ্চ বিদ্যালয়,১৬টি মসজিদ রয়েছে। এই ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মোতালেব হোসেন ঢালী প্রার্থী হিসেবে এইবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
সরেজমিন দেখা গেছে, শরীয়তপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় ময়লার স্তূপ। মশা-মাছিসহ নানা ধরনের কীটপতঙ্গ এলাকাবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী। এখানকার অপরিকল্পিত ও অপ্রশস্ত রাস্তাঘাটে কোনো স্যুয়ারেজের ব্যবস্থা নেই। ব্যাটারী চালিত অবৈধ তিন চাকার যানবাহন চলাচল বেশি থাকার কারণে সড়কে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা লেগেই থাকে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বৃষ্টি হলেই অভ্যন্তরীণ কয়েকটি সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সেই পানি নামতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এ ওয়ার্ডে পৌরসভার কোনো কমিউনিটি সেন্টার ও শিশুপার্ক না থাকায় সমস্যায় পড়েছে নির্মবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা। ওয়ার্ডটিতে মাদকের আনাগোনা খুবই বেশি বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম সরদার বলেন, একটি উন্নত সমাজ গড়তে হলে তৃণমূল থেকেই যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন, যে নেতৃত্ব উন্নয়নের প্রতিটি সোপানে সমাজকে এগিয়ে দেয় কাঙ্খিত লক্ষ্যে। এ লক্ষ্যেই প্রতিবার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচনের ব্যবস্থা করে সরকার, যেন তৃণমূলের সমস্যাগুলো কাউন্সিলররা তুলে ধরে এর সমাধানে সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুর কাজ করতে পারেন; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তৃণমূলের সে নেতৃত্বে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘুণ ধরেছে। আমি এই ওয়ার্ডে জনগণের কাউন্সিলর হতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে এই ওয়ার্ডের মূলসমস্যা গুলো যেমন বর্ষায় দ্রুত বৃষ্টির পানি অপসারণের জন্য নর্দমাসহ পরিকল্পিত ও প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা, বাড়ি নির্মাণে পৌরসভার প্ল্যান বাস্তবায়ন ও শিশুপার্ক স্থাপন করবো। এ ছাড়াও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যুবসমাজকে মাদক থেকে ফিরিয়ে আনতে, মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করবো।