প্রকাশ: সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০, ১০:৫৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহের নান্দাইলের ধন্যাঢ্য ব্যাবসায়ী স্বামীকে প্রতারণার মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে কোটি টাকার সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে জানাযায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও গ্রামের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আলী আমজাদ খান(জীবন) এলাকায় ও রাজধানী ঢাকায় ব্যবসা বাণিজ্য করেন। নান্দাইলের ও ঢাকায় তার নিজস্ব ২টি বাড়ি রয়েছে। স্ত্রী সন্তান নিয়ে আলী আমজাদ ঢাকাতেই থাকতেন। নান্দাইলের গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধা মাকে দেখা শুনার জন্য প্রথম স্ত্রী অনুমোদন নিয়ে ২০০৭ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের জামিয়া রোড এলাকার বাসীন্দা ইউসুফ আতিকের মেয়ে বিধাবা শারমিন জাহান (সুমনা)কে পারিবারিকভাবে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
বিয়ের পর প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার বাড়িতে আর দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকতেনআলী আমজাদ। দ্বিতীয় স্ত্রী তার প্রথম স্বামীর পক্ষের সন্তান শায়রান খান জয়কে সঙ্গে নিয়েই আমজাদ খানের সংসারে আসেন। আলী আমজাদ খানও দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম স্বামীর সন্তানকে মেনে নেন।
এদিকে দ্বিতীয় স্ত্রী কৌশলে শায়রান খান জয়কে স্কুলে ভর্তির সময় আগের স্বামী আনোয়ার হোসেন বাবুলের নাম না লিখে পিতার নামের স্থলে দ্বিতীয় স্বামী আলী আমজাদ খানের নাম লেখান। পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি এবং কিশোরগঞ্জের গরু দয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হন শায়রান খান জয়। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠনে জয়ের জন্মদাতা পিতা আনোয়ার হোসেন বাবুলের নাম না লিখে আলী আমজাদ খানের নাম ব্যবহার করেন।
এদিকে পরিকল্পিতভাবে অসৎ উদ্দেশে অলী আমজাদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের জমি লিখে নেন দ্বিতীয় স্ত্রী সুমনা। দ্বিতীয় স্ত্রীর একঘুয়েমি ও বিতর্কিত কর্মকান্ডে সংসারে শুরু হয় চরম অশান্তি। এক পর্যায়ে গত ১৬আগস্ট তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর তালাকের কাগজ হাতে পেয়ে স্ত্রী শারমিন জাহান বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে আলী আমজাদ খান জীবনের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে শায়রান খান জয় তার জন্মদাতা পিতার নামের স্থলে আলী আমজাদ খান জীবনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে জানতে পেরে আলী আমজাদ খানও একটি মামলা করেন। সেই মামলাটি তদন্ত ভার দেয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন(পিবিআই)কে। এদিকে অভিযোগ মিথ্যা উল্লেখ করে শারমিন জাহান ছেলের জেএসসি, এসএসসি পরীক্ষার সনদ প্রমানপত্র হিসেবে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার কাছে। সেখানে দেখা যায় পিতার নামের ¯’লে আনোয়ার হোসেন বাবুল লেখা আছে। কিš‘ আল আজাহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ চন্ডিপাশা সরকারী উ”চ বিদ্যালয়ের কাগজপত্রেও দেখা যায়, সেখানে ভর্তি থেকে শুরু কওে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সকল কাগজপত্রে পিতার নামের ¯’লে আলী আমজদ খান ব্যবহার করা হয়েছে। কিš‘ শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক সরবরাহ করা সনদগুলোতে পিতার নাম বদলে কি করে আনোয়ার হোসেন বাবুল লেখা কাগজ শারমিন জাহান প্রদর্শন করছেন তা নিয়ে সকলেই বিস্ময় প্রকাশ করেন।
আলী আমজাদ খান জীবন বলেন, শারমিন জাহানের বিতর্কিত কর্মকান্ডে তাকে তালাক দিতে বাধ্য হয়েছি। সে তার ভাই অনিক, রনি আহমেদসহ ¯’ানীয় একটি চক্র নিয়ে আমার সম্পদ আত্মসাৎ করতে মাঠে নেমেছে। তিনি এসব বিষয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার দাবী করেন।
শারমিন জাহান মোবাইল ফোনে আলী আমজাদ খানের দায়েরকৃত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আলী আমজাদ খানই তার জীবনটাকে ধংস করে দিয়েছেন।