পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সরকার কৃষির উন্নয়নে বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে এবং কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। বর্তমান সরকারের এ সকল সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দেশের এই সফলতা ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
রবিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ২০২০-২১ অর্থবছরে রবি মৌসুমে বীজ সহায়তা প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো হাইব্রিড ধান বীজ বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেন, কৃষি ও কৃষকদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সব উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, কৃষক ও কৃষিকে অবহেলা করে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ জন্য সরকার কৃষিতে বিভিন্নভাবে ভর্তুকি দিচ্ছে। ডিজেল ও সারের দাম কমানো হয়েছে। বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়ার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও কৃষি উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। মন্ত্রী কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাড়ির আঙিনাসহ সব পতিত জমিতে ফসল ফলান। এক ইঞ্চি জমি পতিত রাখবেন না। ফসল, সবজি, খাদ্য ইত্যাদি উৎপাদনে গুরুত্ব দিতে হবে।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম আল ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমেদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ মো. রফিকুল ইসলাম সুন্দর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. তাজ উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবল সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষকলীগ বড়লেখা শাখার আহবায়ক মোঃ আব্দুল লতিফ প্রমুখ।
এ সময় পরিবেশ মন্ত্রী বড়লেখা উপজেলার ৩০০০ কৃষকের মধ্যে ২ কেজি করে বিনামূল্যে বোরো হাইব্রিড ধান বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি, বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি ও বোরো হাইব্রিড জাতের ধান চাষের আধুনিক প্রযুক্ত সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বীজ সহায়তা প্রণোদনা দেওয়া হয়। বীজ সহায়তা প্রণোদনা কর্মসূচিতে সরকারের মোট ব্যয় হয়েছে ১৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা।