প্রকাশ: রোববার, ২৯ নভেম্বর, ২০২০, ৩:২৫ পিএম | প্রিন্ট সংস্করণ
এামলায় একের পর এক পরাজিত হয়েও ট্রাম্প বলছেন তিনি নির্বাচনে বিরাট জালিয়াতির সংবাদ পেয়েছেন। যা দিয়ে তিনি নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে চালানো সব ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করে দিতে সক্ষম হবেন। যদিও তার সব মামরঅ এখন আদালত বলে উল্রেখ কওে তা বাতিল কওে দিচ্ছেন। এবারেভোটের ফল বাতিল চেয়ে করা ট্রাম্পের মামলা খারিজ করে দিয়েছে পেনসিলভেনিয়ার আদালত। রায়ের ঘোষণায় আদালত বলেছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে ভোটাররা, আদালত নয়। যদিও আদালতের রায়ের আগেই এই রাজ্যের ফল অনুমোদন হয়ে গেছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।ট্রাম্পের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানির পেনসিলভেনিয়া ফেডারেল আদালতে মামলা করেন। এরপর ফল অনুমোদন না দিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। এছাড়া ২৭ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করা হয়। এদিনই আদালত মামলা খারিজ করে দেয়।অভিযোগের প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থতার কথা জানিয়ে বিচারক স্টিফেনোস বিবাস বলেন, এ মামলায় সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ এবং প্রমাণ নেই।তবে এই রায়ে সন্তুষ্ট নন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। তারা জানিয়েছেন যে, তারা এই রায় মানেন না এবং আপিল আদালতে যাবেন।ট্রাম্পের আইনজীবী দলের অন্যতম জেনা এলিস এক টুইটবার্তায় বলেন, পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বিচার বিভাগ রাজনৈতিক কারণে রাজ্যের ব্যাপক ভোট জালিয়াতি আড়াল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে এখন বিষয়টি প্রমাণের জন্য তারা সুযোগ পাবেন।আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি জানিয়েছেন, পেনসিলভেনিয়া ছাড়াও মিশিগান, নাভাদা, অ্যারিজোনা ও জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটে অনিয়ম নিয়ে একইভাবে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন।প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আশা করছেন, সুপ্রিম কোর্টের নয় বিচারপতির মধ্যে তার ঘরানার সংখ্যাগরিষ্ঠতা এখন রয়েছে। যাদের মাধ্যমে তিনি সফল হতে পারেন।
রাজনৈতিক মতাদর্শ এক হলেও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা পেনসিলভেনিয়া বা অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের ফল পাল্টে দিতে আদেশ দিবেন এমনটি অসম্ভব বলে জানিয়েছেন আইন বিশ্লেষকরা।৩ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর থেকে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। একাধিক মামলাও করেছেন তার আইনজীবীরা। তবে কোথাও তারা এই অভিযোগের পক্ষে শক্ত প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।নির্বাচনের প্রাথমিক ফলে অনেক এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। শুরুতে ক্ষমতা না ছাড়ার জোরালো ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ট্রাম্প। নির্বাচনের ২০ দিন পর এসে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন দেন এবং গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনে হারলে হোয়াইট হাউস ছাড়তেও রাজি আছে বলে জানান ট্রাম্প।যদিও এখনো তিনি নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ থেকে সরে আসেননি এবং আদালতে এ নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণায় অটল রয়েছেন।